নিউজ শর্ট: আমাদের হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী (Tulsi) গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতেই তুলসী গাছ থাকে। এই তুলসী গাছের সঠিক পরিচর্যা এবং পুজোর উপরেই নির্ভর করে প্রত্যেকবাড়ির সুখ-শান্তি। নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ভরে তুলসী পুজো করলে এবং প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালালে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন অনেক ধরনের অনেক কাজ করে ফেলি যার ফলে বাড়ি থেকে অশান্তি কিছুতেই বিদায় হয় না।
লেগেই থাকে অসুখ বিসুখ। কিছুতেই পিছু ছাড়ে না দুঃখ কষ্ট। আবার অনেক সময় দেখা যায় কোন কাজ শেষ মুহূর্তে গিয়েও বাধা পায়। অনেক সময় দেখা যায় দিনের শুরুটা ভালো হলেও মাঝে বা শেষের দিকে অশান্তিতে ভরে ওঠে। কিন্তু এমন কেন হয়? অনেক ভেবে ভেবেও তার কূলকিনারা পাওয়া যায় না।
বাস্তুশাস্ত্র মতে মনে করা হয়, বাড়িতে যে তুলসী গাছ রয়েছে তার পূজো সঠিক নিয়ম মেনে না করলে কিংবা অজান্তে তুলসী গাছের আশেপাশে এমন কিছু জিনিস রেখে দেওয়ার ফলে যা রাখা একদমই উচিত নয় তা অনেক বাড়িতে অশান্তির সৃষ্টি করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক বাড়ি তুলসী গাছের ধারে কাছে, কোন জিনিসগুলি কখনোই রাখা উচিত নয়।
শিবলিঙ্গ: তুলসী গাছের আশেপাশে কখনই শিবলিঙ্গ কিংবা মহাদেবের ছবি রাখা উচিত নয়। পুরানে বিশদে এর কারণ ব্যাখ্যা করা আছে। তুলসী গাছের আশেপাশে রাখা উচিত নয় গণেশ মূর্তি বা গণেশের ছবিও।
কাঁটাযুক্ত গাছ: তুলসী গাছ খুবই কোমল হয়। তাই তুলসী গাছের নীচে কোন কাঁটাযুক্ত গাছ রাখা উচিত নয়। বাস্তুশাস্ত্র মতে তুলসী গাছের কাছে কাঁটাযুক্ত গাছ রাখলে তার ফলের নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে বাড়িতে এবং অশান্তিতে ভরে ওঠে জীবন।
ভেজা কাপড়: তুলসী গাছের কাছে কখনো ভেজা জামা কাপড় শুকাতে দেওয়া উচিত নয়। এর ফলে নাকি বাড়িতে প্রচুর নেগেটিভ শক্তি প্রবেশ করে।
জুতো খোলা: তুলসী গাছের আশেপাশে কখনো জুতো খোলা উচিত নয়। এতে ঘরে দারিদ্র বাসা বাঁধে এবং সুখ সমৃদ্ধি বাধা পায়।
ঝাড়ু: তুলসী গাছের কাছে ভুলেও কখনও ঝাড়ু রাখবেন না। এতে আর্থিক সমস্যা আর অশান্তি শুরু হয়।
আবর্জনা: তুলসী গাছের কাছে কখনও আবর্জনা রাখা যাবে না। তুলসী মঞ্চের চারপাশ সব সময় শুদ্ধ-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তুলসী মঞ্চের আশেপাশে ডাস্টবিন থাকলে সেই সংসার তুলসী মাতার ক্রোধের শিকার হয় এবং ক্ষুদ্ধ হতে পারেন ভগবান বিষ্ণুও।