অফবিট,অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী,মধ্যপ্রদেশ,বিচারক,অঙ্কিতা Offbeat,Inspirational Journey,Madhyapradesh,Judge,Ankita

Papiya Paul

জুটত না দু’বেলা খাবার, ছিল না পরীক্ষার ফর্ম কেনার টাকা, অদম্য লড়াইয়ের পর বিচারক হলেন সবজি বিক্রেতার মেয়ে

মনে যদি ইচ্ছে থাকে এবং একাগ্রতা থাকে তাহলে যে কোনো কঠিন কাজকেও সম্পন্ন করা যায়। তবে তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, হার না মানা মনোভাব, অধ্যবসায় এই জিনিসগুলো থাকলে সাফল্য আসতে বাধ্য। এই কাজে প্রমাণ দিয়েছেন অনেকেই। আর এবার এমনই কাজ করে দেখালেন মধ্যপ্রদেশের(Madhyapradesh) মেয়ে অঙ্কিতা(Ankita)। অত্যন্ত গরিব পরিবারের তার জন্ম। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ।

   

জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রচুর লড়াই করেছেন তিনি। তবুও হার মানেননি। একসময় তার কাছে পরীক্ষার ফর্ম কেনার টাকা ছিল না। বাজারে সবজি বিক্রি করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তবুও তিনি থেমে যাননি। নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা বিচারক হওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। এই পরীক্ষায় শুধু পাশ করা নয়, এস সি কোটাতে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন তিনি। আর তারই সাফল্যের জন্য উজ্জবল হয়েছে তার গোটা জেলার নাম।

তার বাবা পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। তার মাও সবজি বিক্রি করতে যেতেন। অনেক সময় বাধ্য হয়ে অঙ্কিতা সবজি বিক্রি করেছেন। তার ভাই শ্রমিকের কাজ করেন। ছোট থেকে এত কষ্ট পেয়ে বড় হবার পর তার মনে মনে ইচ্ছে ছিল জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। আর সেই লড়াই তিনি লড়েছেন। অঙ্কিতা ইন্দোরের একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করেছেন। ২০২১ সালে এলএলএম পাশ করেন।

অফবিট,অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী,মধ্যপ্রদেশ,বিচারক,অঙ্কিতা Offbeat,Inspirational Journey,Madhyapradesh,Judge,Ankita

অঙ্কিতার বাড়ির আর্থিক অবস্থা একদম ঠিক ছিল না। তবুও সব ক্ষেত্রে তার পরিবার তাকে সমর্থন করেছিল। যতই সমস্যা আসুক না কেন তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। এর পাশাপাশি পরিবারকে সাহায্য করার জন্য মাঝেমাঝেই সবজি বিক্রি করতেন। তিন বছর ধরে এই বিচারক পদে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন অঙ্কিতা। তার এই লড়াইয়ে সবসময় পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন। কঠিন সময়ে সাহস যোগাতে তার মা-বাবা। এভাবেই তিনি বিচারক পদে উত্তীর্ণ হন।

অফবিট,অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী,মধ্যপ্রদেশ,বিচারক,অঙ্কিতা Offbeat,Inspirational Journey,Madhyapradesh,Judge,Ankita

তার এই সাফল্যের পর বিরাট খুশি হয়েছেন পরিবারের সকলে। তিনি জীবনের এই সবথেকে খুশির সংবাদটি আগে মাকে জানিয়েছেন।