নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও নতুন রেকর্ড করেছে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা (Summer Heat)। বিগত কয়েক মাস গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত সকলেরই। ছিঁটেফোঁটা কিছু বৃষ্টি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাতে আবহাওয়ার খুব একটা বদল হয়নি। গরম থেকে বাঁচতে কারোর ভরসা এসি তো কেউ দিনে ২-৩ বার স্নান (Shower) করছেন। কিন্তু জানেন এই গরমেও স্নান না করে থাকছে একটা গ্রামের মানুষ (VIllager unable to Sower)!
গরম বাড়তেই যেখানে ২ বালতির জায়গায় ৩-৪ বালতি জলে স্নান করছি আমরা অনেকেই, সেখানে এই গ্রামের বাসিন্দারা স্নান না করেই কাটাচ্ছেন বহুদিন। কিন্তু কেন এমনটা করছেন গ্রামবাসীরা? তবে কি সেখানে গরম নেই? নাকি এর পিছনে রয়েছে অলৌকিক বা আধ্যাত্মিক কোনো কারণ? উত্তরটা চমকে দেওয়ার মত।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন রাজস্থানের কোনো গ্রামের সম্পর্ক বলা হচ্ছে হয়তো। না, একেবারেই না, এখানে বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের অন্তর্গত একটি গ্রাম ‘রাধারানী গ্রাম’ সম্পর্কে। যেখানে এই তীব্র গরমেও মানুষ স্নান না করে আছেন। কারণ কি? উত্তর জল তীব্র জল কষ্ট। গ্রামটি মূলত চা বাগান এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ ১০০০-১২০০ অতীত! এবার লক্ষীর ভাণ্ডারে আরও বেশি টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, অ্যাকাউন্টে ঢুকবে এত
জলের সমস্যা দূরীকরণের জন্য এক চা বাগানে একটি জলপ্রকল্প করা হয়েছিল। এতে করে জলে পাইপও দেওয়া হয় বাড়িবাড়ি। কিন্তু পাইপ থাকলেও তাতে জল আসেনি। শুরুতে কয়েকদিন জল এসেছিল, তাতেই ইতি। গ্রামে রীতিমত খাওয়ার জলের আকাল দেখা দিয়েছে। তাই গ্রামবাসীদের কাছে স্নান করা এখন বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাছাকাছির মধ্যে নদী আছে, কিন্তু সেখান থেকে জল আনতে হলে পায়ে হেঁটে কয়েককিলোমিটার যেতে হবে। সপ্তাহে একবার গিয়ে জল ভোরে এনে তা দিয়েই তেষ্টা মেটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর যেটুকু অবশিষ্ট তা দিয়েই মাঝে মধ্যে স্নান করতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাইপলাইন বসানো সংস্থা পিএইচই এর কাছে বহুবার অভিযোগ করেছেন গ্রামের মানুষেরা। কিন্তু তাদের হাজারো অভিযোগ সত্ত্বেও কোনো জল আসা তো দূরের কথা কোনো অধিকারিক পর্যবেক্ষণেও আসেননি। ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা সত্যিই বেদনাদায়ক।