আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই স্কুলে স্কুলে পড়ে যাবে গরমের ছুটি। এই একটা সময়ের জন্য মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। গরমের ছুটি মানেই পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া। এখন থেকে অনেকে করে ফেলেছেন প্ল্যানিং। তবে দার্জিলিং (Darjeeling) তো অনেক হলো এবার ঘুরে আসুন সীমান্ত লাগোয়া বেশ কিছু জায়গা থেকে।
ভারতবর্ষের কথা বললেই সবার প্রথমে মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উক্তি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে আমাদের দেশের জুড়ি মেলা ভার। পাহাড়, মালভূমি, মরুভূমি, নদী, সাগর। কি নেই আমাদের দেশে। আমাদের দেশের সীমানা অঞ্চলে এমন বেশ কিছু গ্রাম বা শহর রয়েছে যেখানে গেলে মন শান্ত হয়ে যাবে আপনার। তাই আর দেরি না করে আজই ব্যাকপ্যাক করে বেরিয়ে পড়ুন সেই সমস্ত জায়গার উদ্দেশ্যে। কোথায় যাবেন সেই তালিকায় দেব আজকের এই প্রতিবেদনে।
মানাগ্রাম : ভারত এবং চিন সীমান্তের কাছাকাছি রয়েছে মানাগ্রাম। উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত এই গ্রামকে অনেকেই ভারতের শেষ গ্রাম বলেও অভিহিত করে থাকেন। বদ্রিনাথ থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যেতেই পারেন এই গ্রামে।
ডাউকি : মেঘালয় রাজ্যে অবস্থিত ডাউকি শহর। রূপকথার মায়া রাজ্য বলা হয়ে থাকে এই শহরকে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল উমঙ্গট নদী। এই নদীর স্বচ্ছ জল দেখতেই বহু পর্যটন প্রিয় মানুষ ছুটে আসেন এই শহরে। এই শহরটি অবস্থিত ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে।
ধরচুলা : ভারত এবং নেপাল সীমান্তে অবস্থিত এই শহর। ঘুরতে যাওয়ার সময় সুযোগ পেলে একেবারেই হাতছাড়া করবেন না এই সুযোগ। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে আপনাকে যেতেই হবে ধরচুলা।
চিটকুল : হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত ছিটকুল গ্রাম। এই গ্রামটি রাজ্যের শেষ গ্রাম নামেও পরিচিত। ভারত এবং চীন সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই গ্রাম জনবসতিপূর্ণ। কিছুটা সময় কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রাম থেকেও।
পাংগং লেক : যদি আপনি জল ভালোবাসেন তাহলে যেতে পারেন পাংগং লেক। ঘুরতে যাওয়ার জন্য এটি একটি অপূর্ব জায়গা। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা এই জায়গায় যেতে বেশি ভালোবাসেন। এখানে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির পাখির।
ভার্সে : সিকিমে অবস্থিত ভারতে। অনেকেই এই শহরকে রডোডেনড্রন ফুলের স্বর্গও বলে থাকেন। নেপাল সীমান্ত থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত ভার্সে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতে পারেন এখানেও।