নিউজশর্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই কলকাতা কোর্টের রায়ে বাতিল হয় ২০১০ সালের পর তৈরী হওয়া সমস্ত OBC সার্ফিটিকেট। এরপরেই হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। আজ ছিল সেই মামলায় প্রথম শুনানির তারিখ। সত্যিই কি বাতিল হয়ে যাবে প্রায় ১২ লক্ষ OBC কার্ড? নাকি আবারও ফিরিয়ে দেওয়া হবে বাতিল হওয়া কার্ডের বৈধতা? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।
OBC সার্টিফিকেট বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়
আজ প্রধান বিচারপতি জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে উঠেছিল OBC সার্টিফিকেট বাতিলেরমামলা। এদিন সুপ্রিম কোর্টে হাই কোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি, বরং সমস্ত বিষয়টার বাখ্যা চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে রাজ্যকে জানাতে হবে কিসের ভিত্তিতে নতুন করে ৭৭টি জনগোষ্ঠীকে নতুন করে জায়গা দেওয়া হয়েছিল OBC তালিকায়? তাছাড়া এর জন্য যে সমীক্ষা করা হয়েছিল তার রিপোর্টও পেশ করতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টে নতুন তালিকাভুক্ত জনগোষ্ঠীর আর্থিক পরিস্থিতি , সরকারি চাকরিতে সংখ্যা এর মত বিষয়গুলিও উল্লেখ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের মতে, রাজ্য কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি ছাড়াই নতুন করে ওবিসি তালিকায় জনগোষ্ঠী সংযোজন করেছে, কোনো সমীক্ষা ছাড়াই। এমনকি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও রাজাশেখর মান্থার মতে , রাজনৈতিক কারণে কিছু মুসলিম শ্রেণীকে সংরক্ষণ দেওয়া হয়, যেটামুসলিম সমাজ ও গণতন্ত্রের জন্য অপমান জনক।
তাই ২০১০ এর আগে যারা OBC সম্প্রদায়ে ছিল তাদের তালিকায় রাখা যাবে। কিন্তু ২০১০ সালের পর জারি হওয়া সার্টিফিকেট গ্রাহ্য করা হবে না। কোর্টের এই রায়ের এর ফলে একধাক্কায় প্রায় ৫ লক্ষ সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে যারা এই সময়ের মধ্যে OBC কোটায় চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি যাচ্ছে না। কিন্তু এই একই সার্টিফিকেট দিয়ে নতুন করে চাকরির ক্ষেত্রে কোনো সংরক্ষণ পাওয়াযাবে না।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে বাজার, বাড়ি বসেই পাবেন সস্তায় আলু, পেঁয়াজ! দারুন উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
জানা যাচ্ছে এই মামলার আগামী শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে আগামী সপ্তাহের শুক্রবার অর্থাৎ ১৬ই অগাস্ট। সেদিনের শুনানির পরেই জানা যাবে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বজায় থাকবে নাকি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে!