নিউজ শর্ট ডেস্ক: শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বছরের যে কোন মরসুমেই ঘুরতে যাওয়ার জন্য দু-একদিনের ছুটিতে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে বাঙালি বারবার ছুটে যায় সৈকত শহর দিঘার (Digha) বুকেই। রোজকার কর্মব্যস্ত জীবন থেকে অবসর সময়ে সমুদ্রের পাড়ে বসে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে! তাই দিনে দিনে সৈকত শহরই হয়ে উঠছে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot)।
দিনে দিনে দীঘায় বাড়ছে পর্যটকদের ঢল। তাই এখন কোনো নির্দিষ্ট সিজনে নয় প্রায় সারা বছরই দীঘার ভিড় থাকে পর্যটকদের। তাই পর্যটকদের কথা ভেবে ইতিমধ্যেই এই সৈকত শহরকে ঢেলে সাজাতে ব্যস্ত প্রশাসন। পর্যটকদের সুবিধার জন্যই ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিষেবা চালু করা হয়েছে দিঘায়।
আর প্রত্যেক বছর এই গরমের ছুটিতে দীঘাই হয়ে ওঠে বাঙালি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম মূল কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সমস্যা হল এই সৈকত সরণিতে দিনে দিনে যে হারে অবৈধ হকারদের (Hawkers) দাপট বাড়ছে তাতে চলাফেরা কার্যত দায় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের। এই বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
তাই স্কুল-কলেজের ছুটি গরমের ছুটি পড়ার আগেই পর্যটন শহর দীঘায় পর্যটকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক বিশেষ উদ্যোগ নিল প্রশাসন। জানা যাচ্ছে দিঘার সৈকত সরণিতে পর্যটকদের কথা ভেবেই চলছে অবৈধ হকার উচ্ছেদের কাজ।
আরও পড়ুন: টাটার মুকুটে নতুন পালক! দেশজুড়ে এই নতুন রেকর্ড গড়লো Tata Group
আসলে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা নিয়মিত লক্ষ্য করছেন দীঘার যত্রতত্র বিশেষ করে সি বিচের ধারে গজিয়ে উঠেছে অবৈধ হকারদের দোকান। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে ঘুরতে আসা পর্যটকদেরও।তাই এবার গরমের ছুটি পড়ার আগেই দিঘার সৈকত সরণীতে হকারদের সংখ্যা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
তার জন্য প্রশাসনের তালিকায় যে সমস্ত হকার হকারদের নাম নথিভুক্ত নেই তাদেরকে দোকান পেতে বসতে দেওয়া হবে না বলে জান জানানো হয়েছে।সেইসাথে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করতে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পরিষদ মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছে। জানানো হয়েছে এই নিয়ম না মানা হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে। সব মিলিয়ে প্রশাসনের এই ভূমিকায় বেশ খুশি হয়েছেন পর্যটকরা