অপেক্ষার শেষ চলেই এসেছে দুর্গাপুজো, আর তা নিয়ে ছোট থেকে বড় সবার মধ্যে উৎসাহের শেষ নেই। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির তোড়জোড়। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা বাংলা। পুজোর আনন্দ যেমন, তেমনই সরকারি দপ্তরেও ছুটি পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এবারের দুর্গাপুজোতে স্কুল পড়ুয়ারা কতটা ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে পারবে, তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে! কেন? কারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। যা জানলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন। বিস্তারিত জানতে আজকের এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
শিক্ষকদের জন্য নতুন নিয়ম
এই বছর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্কুলগুলিকে লক্ষ্মী পুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস করানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে প্রয়োজনবোধে শিক্ষার্থীদের জন্য এই ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিশেষ করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দ্বিতীয় সেমিস্টারের আগে সিলেবাস শেষ করতে হবে, যেটার জন্য সময়ের কিছুটা হলেও অভাব রয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি
আসলে এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের সিলেবাসে বড় পরিবর্তন এসেছে। ফলে প্রথম সেমিস্টারের বই হাতে পেতে দেরি হওয়ায় সিলেবাস অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। দুর্গাপুজো ২০২৪ এর পর ছুটি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে। এই কারণে, ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাসের আয়োজন শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্কুলের প্রতিক্রিয়া
শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে একাধিক স্কুল। তারা মনে করছে, লম্বা ছুটির পর পড়ুয়াদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে। তাই পুজোর ছুটির মধ্যেও অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিছু স্কুল ইতিমধ্যেই লক্ষ্মী পুজোর পর থেকে অনলাইনে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
আসলে দুর্গাপুজো মানেই যেমন ছুটি ও আনন্দ, ঠিক তেমনই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা চাপের সময়ও। নতুন সেমিস্টার পদ্ধতি আর সিলেবাস পরিবর্তনের কারণে পড়ুয়াদের ক্লাস চালিয়ে যাওয়া একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দুর্গাপুজো ২০২৪ এ ছুটি থাকলেও, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যেন তাদের প্রস্তুতি ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।