পার্থ মান্নাঃ বর্তমানে সময় দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ অত্যাবশ্যক সার্ভিসের মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। টিভি, পাখা, ফ্রিজ থেকে শুরু করে স্মার্টফোন সমস্ত কিছুই চালানোর জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন। তাই একদিনও যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে রীতিমত চিন্তায় পড়ে যেতে হয়। এর উপর গরমে এসির প্রচলন বাড়তে থাকায় প্রতি বছর হু হু করে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। যেটা সামাল দিতে হয়ে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের সরকারি বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি WBSEDCL। তবে চাহিদা মেটাতে না পারার সাথে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের বকেয়া বিলের সমস্যা।
রাজ্য সরকারের ঘরেই বাকি ১০০০ কোটির বিদ্যুতের বিল!
জানা যাচ্ছে এমন বহু সরকারি দফতর রয়েছে যেখানে বিপুল অর্থের বিদ্যুতের বিল বকেয়া পরে রয়েছে। যার জেরে সর্বমোট প্রায় ১০০০ কোটি টাকা পাবে WBSEDCL। তাই এবার বাকি থাকা বিল মেটানোর জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। সরকারের মতে নতুন পদ্ধতিতে বিদ্যুতের বিল যেমন জমবে না তেমনি বকেয়া বিলের পরিমাণও কমবে।
এবার সরকারি অফিসেও বসবে প্রিপেড মিটার
বকেয়া বিলের সমস্যা মেটাতে এবার সরকারি দফতরে প্রিপেড মিটার চালু করতে চাইছে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। আগে টাকা দিয়ে পরে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিয়মে রাজি নবান্নও। তাই অফিসে খুব শীঘ্রই প্রিপেড মিটার লাগানো হবে। মোবাইল রিচার্জের মতই আগে টাকা ভরে নিতে হবে তবেই বিদ্যুৎ খরচ করা যাবে। টাকা ফুরোলেই কানেকশন কেটে যাবে।
বকেয়া টাকা মেটালে মিলবে অতিরিক্ত ৪% ছাড়
নতুন প্রিপেড মিটার নিতে চাইলেই যে পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। কারণ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী রিচার্জের টাকা দিয়ে পুরোনো বাকি থাকা বিল মেটানো যাবে না। তাই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে যে সমস্ত অফিস এখনের সিস্টেমের বদলে প্রি পেড মিটার নিতে চাইছে তাদের কানেকশনের ১০ দিনের মধ্যে পুরোনো বিল মেটাতে হবে। এক্ষেত্রে ৪% অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হবে বকেয়া টাকার উপরে।
প্রসঙ্গত, আপাতত সরকারি অফিসে এই পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব রাখা হলেও ধীরে ধীরে ছোট ছোট শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থার ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রি পেড মিটার চালু করতে চায় বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। প্রথমে ৫ থেকে ৫০ কিলোভোল্ট খরচ হওয়া মিটারগুলিকে পাল্টানো হবে। বিদ্যুৎ দফতরের এক অধিকারের মতে, ‘২০২৫ সালের মধ্যেই ৫০ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে’। ইতিমধ্যেই নাকি সেই মর্মে মিটার তৈরি সংস্থাকে অর্ডার ও দেওয়া হয়ে গিয়েছে।