পার্থ মান্নাঃ একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কাজ হয়নি, তাই এবার বাধ্য হয়েই ক্ড়া সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যই জারি হল নির্দেশিকা। যা দেখার পর রীতিমত নড়েচড়ে বসেছেন অনেকেই। কি রয়েছে সেই নির্দেশিকায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদনে।
সরকারি কর্মীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি নবান্নর
আসলে সময়ের সাথে সরকারি অফিসে হাজিরার রেকর্ড করার নিয়মে বেশ কিছু বদল এসেছে। প্রায় একবছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স চালু হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেকেই সেটা উপেক্ষা করে দিব্যি খাতায় সই করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বহুবার কর্মীদের বলা সত্ত্বেও বায়োমেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার হচ্ছে না। তাই এবার নৃদেশিক জারি করে বাধ্যতামূলক করা হল বায়োমেট্রিক। একইসাথে খাতায় সই করা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবারেই রাজ্যের দেবুটি সেক্রেটারি নাভেদ আখতার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন। নবান্নের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, ‘কর্মীদের একাধিকবার বলা সত্ত্বেও একবছর ধরে অনেকেই বায়োমেট্রিক সিস্টেম ব্যবহারে অনীহা দেখাচ্ছেন। সকলে বায়োমেট্রিক না ব্যবহার করার ফলে খাতা ও ইলেক্ট্রনিক অ্যাটেন্ডেন্স মিলিয়ে মাসের শেষে হাজিরা রিপোর্ট বানাতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
খাতায় সই করে হাজিরা দেওয়ার দিন শেষ
নবান্নের এক অধিকারের মতে, বায়োমেট্রিক নিয়ে বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছিল। সেটা আগেও চালু ছিল এখনও রয়েছে। শুধু খাতায় সই করে হাজিরা দেওয়ার সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দেওয়া শুরু হলে সরকারি দফতরের কর্মসংস্কৃতিতে যেমন সংশোধন হবে তেমনি অফিসে দেরিতে হাজিরা দেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে নবান্নে বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। তবুও অনেকেই খাতায় সই করে হাজিরা দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। পুরোনো কর্মীরা তো বটেই অনেকেই পদোন্নতি হয়ে বা বদলি হয়ে নবান্নে আসার পরেও বায়োমেট্রিক সিস্টেমে নাম আপডেটের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেননি। তবে এবার আর সেটা হবে না। নবান্নে কাজের প্রথম দিনেই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে। আর যদি বদলি হয় অনত্র চলে যেতে হয় তাহলেও আগে থেকে নাম সরানোর কথা জানাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।