নিউজশর্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পড় থেকেই সিভিক ভলিন্টিয়াররা চর্চার কেন্দ্র বিন্দু। কিভাবে তাদেরনিয়োগ হয় থেকে শুরু করে তাদের আইনত কর্তব্য কি? কোন কাজ তা করতে পারে আর কোনটা করা যায়না, এমন হাজারো প্রশ্ন জেগেছে সাধারণ মানুষের মনে। ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকাও জারি হয়েছে, অন ডিউটিতে থাকালীন অভদ্র আচরণ বা মদ্যপ হলে যেমন চাকরি খোয়ানোর হুশিয়ারী দেওয়া হয়েছে। এমনকি পুলিশের বাইক নিয়েও ঘোরাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার সিভিকদের উদ্দেশ্যে এল সুখবর।
সিভিক ভলিন্টিয়ারদের জন্য বড় ঘোষণা
জানা যাচ্ছে সিভিক ভলিন্টিয়ারদের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে কিভাবে ও কি কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তার খসড়া তৈরীর কাজ শুরু করে দেয়াও হয়েছে। সেটা তৈরী হলেই পরবর্তীতে কিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হবে।
সিভিকদের প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
নিয়মমতে পুলিশের সহায়ক হিসাবে কাজ করেন সিভিক ভলিন্টিয়াররা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কিংবা তদন্তের কোনো কাজই করতে পারে না তাঁরা। কিন্তু অনেক সময়েই ট্রাফিক সামলাও থেকে চালান কাটা এমনকি তদন্তেও দেখা যাচ্ছে তাদের। এদিকে সিভিকদের দুর্ব্যবহার বা অপরাধের দায়ও গিয়ে পড়ছে পুলিশের ঘাড়ে! তাই নিয়োগের পর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
কি কি থাকবে প্রশিক্ষণে?
যদিও কি ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেই সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যাইনি। তবে পুলিশের একাংশের মতে, শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কাজ করতে গেলে আইনের জ্ঞান, নৈতিকতা থেকে পুলিশি আচরণের শিক্ষা আবশ্যক। এছাড়াও ডিউটিরত অবস্থায় পরিস্তিতি উত্তেজক হয়ে উঠলে কিভাবে সেটা সামাল দিতে হবে, কিভাবে পুলিশকে নিয়মের মধ্যে থেকেই সাহায্য করা যেতে পারে এই সমস্ত কাজ সেখান যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ মোটেই বরদাস্ত কর হবে না কাজে ফাঁকি! শনিতেই সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশিকা নবান্নর
তবে শুধুই প্রশিক্ষণ নয়, বার্ষিকভিত্তিতে কাজের মূল্যায়নও প্রয়োজন। যেখানে খারাপ কাজ বা বেনিয়ম করলে যেমন একদিকে শাস্তি দেওয়া বা চাকরি থেকে বহিস্কার করা হতে পারে। তেমনি ভালো কাজের জন্য পুরস্কারও দেওয়া উচিত। তবে প্রশিক্ষণ কি ভাবে ও কবে থেকে চালু হবে সেটা আগামী দিনে নির্দেশিকা এলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।