নিউজ শর্ট ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পর থেজন্য কেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি নিয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamta Banerjee)। রাজ্যের মহিলাদের জন্য চালু করা এমনই একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মী ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পে বিগত কয়েক মাস ধরেই উপকৃত হয়ে চলেছেন রাজ্যের হাজাহাজার র মহিলা।
বাংলার সব মহিলাদের জন্যই হাত খরচ হিসেবে প্রত্যেক মাসে টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পে। প্রসঙ্গত সামনেই আসছে লোকসভা ভোট। তার আগেই ভোট ব্যাংক ভরাতে জনগণের মন জয় করার জন্য এক বিরাট ঘোষণা এক বিরাট ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ২০২৪ সালের রাজ্য বাজেটে এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে দারুন খুশির খবর শুনিয়েছেন রাজ্যের অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এতদিন রাজ্য সরকারের এই জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে রাজ্যের মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান পেয়ে আসছিলেন।তবে সম্প্রতি এই ৫০০ টাকার অনুদান বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। যা রাজ্যের সাধারণ মহিলাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি সুখবর। জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা।
যদিও তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অনগ্রসর জনজাতির মহিলারা এই ভাতা বাবদ আরও বেশি পরিমাণ টাকা পান। এতদিন লক্ষ্মী ভান্ডারের ভাতা বাবদ তারা পাচ্ছিলেন ১০০০ টাকা করে। তবে এবার তাদের ভাতা ২০০ টাকা বাড়িয়ে করা হলো মোট ১২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: এক রিচার্জেই আনলিমিটেড ডেটা, সঙ্গে ফ্রি ২১ টি OTT চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন দিচ্ছে এই সংস্থা
রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত বা গরিব পরিবারের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। যা প্রথম চালু করা হয়েছিল ২০২১ সালের আগস্ট মাসে।
কিন্তু কবে থেকে বর্ধিত টাকা পাবেন রাজ্যবাসী? রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ইতিপূর্বে জানিয়েছেন রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য নতুন করে আরও ১,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা কার্যকর করা হবে। আবেদনকারীরা মে মাস থেকেই এই প্রকল্পের টাকা পেতে শুরু করবেন।