শ্রী ভট্টাচার্য, কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাতেই খবর আসে যে রানাঘাটের দুই পর্বতারোহী বিশ্বের সবোর্চ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন। শুভেচ্ছা বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু শুভেচ্ছার বন্যা কয়েক মুহূর্তেই শোকে পরিণত হয়। এভারেস্ট জয় করেও আর বাড়ি ফেরা হল না বাংলার গর্ব সুব্রতের (Bengal Mountaineer Died)। দুঃখের দিন দেখল রানাঘাট।
জানা গিয়েছে, এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর পর ক্যাম্প ৪-এ নামার সময় হিলারি স্টেপের কাছে পশ্চিমবঙ্গের পর্বতারোহী সুব্রত ঘোষ মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। যদিও সুব্রত যাঁর সঙ্গে এভারেস্ট ট্রিপে গিয়েছিলেন, কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লেও আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। ওই বাঙালি মহিলাও রানাঘাটের বাসিন্দা। নাম রুম্পা দাস। এভারেস্ট জয় করে নিচে নামছেন বলেই খবর।
কিন্তু সুব্রতের এই মর্মান্তিক পরিণতির কারণ কী?
তাঁর অভিযান সংস্থা, স্নোই হরাইজন ট্রেকস অ্যান্ড এক্সপিডিশন অনুসারে, ঘোষ দেরিতে চূড়ায় পৌঁছান। গতকাল দুপুর ২টোর দিকে নিজের শেরপা চম্পল তামাংকে সাথে নিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নামার সময় ঘোষের শরীরে তীব্র ক্লান্তি এবং উচ্চতাজনিত অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেয়। অবশেষে তিনি এগিয়ে যেতে পারেননি। পরে হিলারি স্টেপের কাছে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রথের আগেই চালু হাওড়া-পুরী স্পেশাল বন্দে ভারত, দেখুন টাইমটেবিল সহ ভাড়া
আরও জানা গিয়েছে যে ঘোষ কৃষ্ণনগর পর্বতারোহণ সমিতির (এমএকে) তিন সদস্যের একটি দলের অংশ ছিলেন, রুম্পা দাস এবং অসীম কুমার মণ্ডলের সাথে। এই তিনজন ৩১ মার্চ কলকাতা থেকে তাদের অভিযান শুরু করেছিলেন। ৪৪ বছর বয়সী রুম্পা দাস ১৫ মে ২০২৫ তারিখে সফলভাবে চূড়ায় পৌঁছান। তবে অসীম কুমার মণ্ডল তাঁর চূড়ার আশা ছেড়ে দিয়ে ক্যাম্প ৪ থেকে ফিরে আসেন। এমন পরিস্তিতিতে, রুম্পা এবং অসীম উভয়ই নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে গিয়েছে বর্তমানে বেস ক্যাম্পের দিকে নামছেন তাঁরা।
