বলিউড,বিনোদন,শাইনি আহুজা,গসিপ,অভিযোগ,Bollywood,Entertainment,Saini Ahuja,Gossip,Allegations

Moumita

অভিনয় দুর্দান্ত করলেও বদলে যায় ভাগ্য, ধর্ষণে অভিযুক্ত হওয়ায় বলিউড ছাড়তে হয় শাইনিকে!

শাইনি আহুজাকে মনে আছে তো? হঠাৎ করেই উল্কার মতো আবির্ভাব হওয়া সেই ছেলেটি। সুদর্শন চেহারার সাথে অভিনয়টাও ভালোই করতেন তিনি। সম্পূর্ণরূপে ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসেও টেক্কা দিয়েছিলেন তাবড় তাবড় সব অভিনেতাদের। এমনকি বেস্ট ডেবিউয়ের অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একথা খুব কম মানুষই জানেন যে ২০০৯ সালের একটি ঘটনা বদলে দেয় তার পুরো জীবন।

   

২০০৯ সালের এই ঘটনার জেরে বলিউডের আকাশে শাইন করার আগেই হারিয়ে যায় শাইনি, বি টাউন থেকে মিটে যায় তার নাম। ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ‘হাজারো খোয়াইশেইন অ্যাসি’র জন্যই বেস্ট ডেবিউয়ের অ্যাওয়ার্ড পান শাইনি। সমালোচকদের কলমে প্রশংসিত হয়েছিলো শাইনির অভিনয়। খুব বেশি প্রেক্ষাগৃহ না পেলেও সেই সময় শাইনির অভিনয় মন জিতে নিয়েছিলো দর্শকমহলের।

এরপর গ্যাংস্টার, ওহ লামহে, লাইফ ইন এ মেট্রো, ভুল ভুলাইয়া এবং আরও বেশ কিছুতে ছবিতে দেখা গেছিলো তার দূর্ধর্ষ অভিনয়ের ঝলক। কিন্তু খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি অভিনেতার বলিউড কেরিয়ার। ২০০৯ সালে তার বাড়ির পরিচারিকা অভিনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলে।

বছর কুড়ির ঐ যুবতী দাবী করেছিলেন যে, অভিনেতা স্ত্রীর অবর্তমানে ধর্ষণ করেছেন তাকে। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ধারা ৫০৬ (হত্যার হুমকি) এর অধীনে মামলা করা হয়।

সেই সময়কার মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঐ পরিচারিকা অভিযোগ করেন যে, শাইনি তাকে শুধু রেপই করেননি বরং তাকে আটকে রেখে হত্যার হুমকিও দেন। তার মতো সম্ভাব্য প্রতিভাবান অভিনেতার নামে এরকম চাঞ্চল্যকর অভিযোগে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। এইসময় তিনমাস কারাবাসের পর জামিনে ছাড়া পান তিনি। এরপর দুই বছর পর ২০১১ সালে বম্বে হাইকোর্ট তাকে সাত বছরের কারাবাসের শাস্তি দেন।

তবে সেই সময়ই পরিচারিকা জানান যে, সহবাসে তারও সম্মতি ছিলো। এই বক্তব্যের পর জামিন দেওয়া হয় শাইনিকে। এরপর ৩০ মার্চ রায় দেওয়ার সময় আদালত থেকে ঘোষণা করে, “পরিচারিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে শাইনি।” সেইসময় নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনে শাইনি জানায়, তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই অভিযোগের হাত থেকে রেহাই পেলেও বলিউড আর ফিরিয়ে নেয়নি অভিনেতাকে। শুনানির পরে অভিনেতাকে মাত্র গুটি কয়েক ছবিতেই দেখা গেছিলো অভিনেতাকে। মাঝেমাঝে বুদবুদের মতো তার নাম ভেসে এলেও কী করছেন কোথায় আছেন সেই খবর রাখেনা কেউই।