নিউজশর্ট ডেস্কঃ আর কিছুদিনের মধ্যেই গরম কমে ধীরে ধীরে বাংলায় প্রবেশ করবে বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত শুরুও হয়েছে। এই সময়েই পোকামাকড়ের (Insects) উপদ্রব বেশ বাড়ে, যার ফলে অনেকসময় বড়সড় ক্ষতিও হয়ে যায়। এই যেমন ধরুন রোদে দেওয়ার পর কোনো জামা বা প্যান্ট পড়ার পর হটাৎই যদি জ্বালা করে তাহলে বুঝে নিন নির্ঘাত কোনো পোকা-মাকড় হয়তো ছিল ভিতরে। কিন্তু এরপর কি করবেন? কি সাবধানতা নিতে হবে? চলুন সেই সম্পর্কেই জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।
সাধারণত ঘরে পিঁপড়ে, আরশোলা বা মাকড়শা হামেশাই দেখা যায়। এছাড়াও কপাল খারাপ থাকলে ভীমরুল, বলতে বা মৌমাছির কামড়ও খেতে পারেন আপনি। এমনকি ঘুমের মধ্যে যদি আরশোলা বা কোনো বিষাক্ত পোকা চেটে চলে যায় তাহলেও অনেক সময় জ্বালা করে লাল হয়ে যায় সেই জায়গা। এমন হলে কিন্তু মোটেই সেটাকে অবহেলা করবেন না। কারণটা পরবর্তীকালে এটার থেকেই কোনো সংক্রমণ হয়ে বাড়াবাড়ি হতে পারে।
পোকামাকড়ের কামড় থেকে কি কি সমস্যা হতে পারে?
কি ধরণের পোকা কামড়েছে তার উপর ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়া ও সমস্যা ভিন্ন হতে পারে। তবে চিকিৎসকের মতে লাল হয়ে পরবর্তীকালে ফুলে যাওয়া ও ব্যাথা হওয়া এগুলো হল সবচাইতে কমন। এছাড়াও অ্যাল্যার্জি থাকলে গায়ে গোটা উঠে যেতে পারে। মূলত মৌমাছি বা বোলতার কামড়ের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ জ্বালার পর ব্যাথা হয়ে যায়। অন্যদিকে এসিড পোকা বা অনান্য কোনো বিষাক্ত পোকা চেটে গেলে পুড়ে যাওয়ার মত জ্বালা করতে থাকে।
পোকামাকড়ের কামড়ের পর প্রাথমিক চিকিৎসা কি?
- অনেকেই বুঝতে পারেন না যে পোকামাকড় জাতীয় কিছু কামড়ালে কি করা উচিত। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কাজগুলি করতেই পারেন প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবেঃ
- প্রথমেই সেই জায়গাটিকে পরিষ্কার জলে বা সাবান দিয়েই ধুয়ে ফেলতে হবে।
- যদি ব্যাথা হয় তাহলে পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে বরফের টুকরো মুড়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে। এতে প্রাথমিকভাবে কিছুটা আরাম পাওয়া যেতে পারে।
- প্রয়োজনে অ্যান্টিসেপ্টিক বা অতিরিক্ত জ্বালা করলে ময়েশ্চরাইজার লাগাতেও পারেন।
তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার দেখানোর পর প্রয়োজনে তিনি ঔষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেবেন। এছাড়াও যদি জঙ্গলের দিকে ভ্রমণে বা ট্রেকিংয়ে যান সেক্ষেত্রে যখনই কোনো জামাকাপড় পড়বেন সেটা আগেভাগে ভালো করে ঝেড়ে পড়তে হবে তাহলেই অনেকটা সাবধান থাকা যায়।