ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলছে বসন্ত ঋতু (Spring)। অর্থাৎ প্রেমের ঋতু। এই ঋতুতেই গাছে গাছে দেখা যায় রাঙা পলাশ(Palash Flower)। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশ ঢেকে যায় পলাশে পলাশে। আর এই ফুলই জানান দেয় ‘বসন্ত এসে গেছে’।
হাতে আর মাত্র আজকের দিনটাই। রাত পোহালেই দোল উৎসব। আর এই দোল উৎসবে খোঁজ পরে পলাশ ফুলের। তবে কেবলমাত্র লাল পলাশ নয়। সাদা পলাশ বা শ্বেত পলাশও নাকি দেখতে পাওয়া যায় বিশেষ কিছু জায়গায়। আপনি যদি এই অন্যরকম ফুল দেখতে চান তাহলে অবশ্যই যেতে হবে পুরুলিয়ায়। সম্প্রতি সেখানেই খোঁজ মিলেছে এই ফুলের।
পুরুলিয়া জেলার হুড়ার একটি গ্রামে খোঁজ পাওয়া গেছে এই শ্বেতপলাশ গাছের। যদিও স্থানীয়দের কথায়, প্রথমে নাকি কেউ বুঝতেই পারেনি এটা পলাশ ফুল। তবে পরবর্তীতে জানা গিয়েছে সবটাই। এই গাছের নাকি দাম উঠেছে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। কলকাতার এক বাসিন্দা রাজি হয়েছেন এত টাকা দিয়ে সেই গাছটি কিনতে।
বিরল এই পলাশ ফুল দেখতে পুরুলিয়ার হুড়া গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। এই ফুল নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে উদ্যান পালন দপ্তর। গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। গাছের ডালে বা ফুলের ক্ষতি হলেই ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও লিখে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ এই পলাশ ফুলে রয়েছে নানান গুণ। বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ, যৌন শক্তি বর্ধক ওষুধ তৈরি করতে বিশেষ উপকারী শ্বেতপলাশ। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও নাকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই ফুল।
আবার অনেকেরই বিশ্বাস মহাদেবের ভীষণ পছন্দ শ্বেতপলাশ। অনেকেরই মতে তন্ত্র সাধনাতে ব্যবহার করা হয় এই ফুল। এই গাছের দর্শন পেলে পূর্ণ হয় জীবন। এমনও ধারণা সাধারণ মানুষের।