Tollywood

Moumita

‘অমিতাভ বচ্চন রাজিও ছিলেন’, টাকার অভাবে পরিচালক হতে পারলাম না, আক্ষেপ প্রকাশ চিরঞ্জিতের

টলিউডের একজন অভিজ্ঞ অভিনেতার নাম হল চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। একটা সময় একাধিক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা। তবে জেনে অবাক হবেন যে, তিনি কিন্তু অভিনেতা হতে চাননি। বরং তিনি হতে চেয়েছিলেন একজন পরিচালক। তবে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। কারণ একটা সময় নাকি সুযোগ এসেছিল বটে, তবে হাতে ছিলনা টাকা।

   

জানা যায়, পরিচালক হওয়ার খিদে তাকে নিয়ে গেছিল অমিতাভ বচ্চনের কাছে। তবে শোনা যায়, এতে বিশেষ কোন লাভ হয়নি তার। কারণ, তখন কারো কাছ থেকে একটা পয়সারও সাহায্য পাননি তিনি। সেই সময় সত্যজিৎ রায়কে দেখে কাজ লিখেছিলেন তিনি। তিনি চেয়েছিলেন মুম্বাইয়ের মাটিতে নিজের নাম তৈরি করতে।

তবে পরিস্থিতি তাকে তৈরি করে একজন অভিনেতাই। এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ জানিয়েছিলেন, ”মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) সঙ্গে কাজ করেছি, ভাল কাজ করার ইচ্ছে ছিল, ভাল ছবি তৈরি করার ইচ্ছে ছিল। তখন আমি খুব ছোট, লিখেছিলাম চিত্রনাট্য। সকলের দরজায় দরজায় গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কেউ টাকা দেয়নি। কেউ ফিন্যান্স করেনি। আমি অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি গিয়েছি, একটি স্ক্রিপ্ট পড়ে শুনিয়েছি।”

অভিনেতার সংযোজন, “তখন আমার বয়স ২২ বছর। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে চেয়েছিলাম হয়তো। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন রাজিও হয়েছিলেন। অথাৎ যিনি প্রযোজক, তিনি কোনওভাবে আমার পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন। ছবিটা করতে পারিনি আমি। যদি হিন্দিতে এই কাজটা করে ফেলতাম, তবে আমার জীবনের গল্পটাই হয়তো পাল্টে যেত। আমি পরিচালক হতাম। আমার জীবনের গল্পটাই অন্য রকমের হতো। হয়তো আমি আন্তর্জাতিক স্তরে এখন কাজ করতাম।”

এরপরই আক্ষেপের সুর শোনা যায় চিরঞ্জিতের গলায়। তিনি বলেন, ‘আমি এখানেই থেকে গিয়েছি, হিরো হয়েছি। আমি আর মিঠুন তখন একসঙ্গে অনেক ঘুরেছি। খবর পড়তাম আমি দূরদর্শনে। তখন মনে হল, আমি হিরো হয়ে যাই, তাহলে অনেক বেশি পরিচিতি তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন সেই ইচ্ছে অধরাই থেকে যায়। পরিচালক আর হয়ে ওঠা হয় না দীপক চক্রবর্তীর।’