পার্থ মান্নাঃ সম্প্রতিকালে বাবা সিদ্দিকীর খুন হওয়ার পর লরেন্স বিষ্ণোই এর নাম ফের চর্চায় উঠে এসেছে। বিগত শনিবারে নিজের অফিস থেকে বেরিয়েগাড়ীতে উঠতে যাওয়র সময়েই কিছুদুষ্কৃতীরা গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীকে। এই খুনের দায় স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করা হয়। আর সাথে বলা হয় সালমান খানকেও খুন করতে চায় বিষ্ণোইয়ের দল। কিন্তু কেন সালমানকে মারতে চায় লরেন্স বিষ্ণোই?
আমার জীবনের লক্ষ্য হল সলমন খানকে হত্যা করা : লরেন্স বিষ্ণোই
বর্তমানে লরেন্স বিষ্ণোই জেলে রয়েছেন। কিছুদিন আগে জেল থেকেই একটি সাক্ষৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। লরেন্স জানান, আমার জীবনের লক্ষ্য হল সালমান খানকে হত্যা করা। সালমান খানের নিরাপত্তা সরালেই আমি ওকে মেরে ফেলব। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। সালমানের উচিত বিকানেরে আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা। যদি ক্ষমা চেয়েনেন তাহলেই বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে।’ একইসাথে সালমানের অহংকার রাবণের চেয়েও বড় বলে জানান তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন সালমান খানের প্রতি এতটা ক্ষোভ লরেন্সের? ঠিক কি কারণে তাকে মারা জীবনের প্রধান লক্ষ্য করে নিয়েছেন? এর উত্তর জানতে গেলে আপনাদের ফিরে যেতে হ যে অতীতে। তবেই উত্তর মিলবে। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক সেই কাহিনী।
কেন সালমান খানকে মারতে চায় লরেন্স বিষ্ণোই?
ঘটনাটা প্রায় দুই দশক পুরোনো। ১৯৯৮ সালে যোধপুরে শুটিংয়ের সময় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সালমান খানের উপর। সেই থেকেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চোখের কাঁটা বলিউডের ভাইজান। কারণ, বিষ্ণোই সম্প্রত্যায়ের মানুষের কাছে কৃষ্ণসার হরিণ বড়ই পবিত্র। তাই পবিত্র প্রাণীকে হত্যা করার জন্যই সালমান খানের উপর এতটা রাগ রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে দিনের বেলায় রাস্তায় গুলি করা হয় সিধু মুসাওয়ালাকে। পরবর্তীকালে জানা যায় এই খুনের পিছনে ছিল গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, যে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ট। তার কিছুদিন পরেই মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকির চিঠি দেওয়া হয় সালমানকে। সেখানে লেখা ছিল তাঁর বাবাকে সিধুর মত মেরে ফেলার কথা। এরপর আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয় সালমান খানের।