পার্থ মান্নাঃ যত দিন যাচ্ছে ততই চারিদিকের বাড়তে থাকা পরিবেশ দূষণ থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে কিছুটা সতর্ক হলেও বিরাট পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে সেই দিন বেশি দূরে নেই যখন পৃথিবীতে মানুষ তো দূর কোনো প্রাণীরই অস্তিত্ব থাকবে না। সম্প্রতি এই বিষয়েই বড়সড় তথ্য জানালেন বিজ্ঞানীরা। যা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত।
ধ্বংসের পথে পৃথিবী
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে চমকে দেওয়ার মত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। যেখানে জানা যাচ্ছে একটা সময়ের পর মানুষ থেকে শুরু করে কোনো প্রাণী বা জীবই আর এই পৃথিবীর বুকে টিকতে পারবে না। কিন্তু কেন? কি কারণে এমন বিপর্যয় ঘটবে? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
যেমনটা জানা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একটি কম্পিউটার সিমুলেশন পরীক্ষা করেছিলেন। সেখানে বর্তমানে পৃথিবীর সমস্ত পরিস্থিতি সেট করার পর সেটাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যার ফলে দেখা গেছে ২৫০ মিলিয়ন বছর পরেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী।
কি কারণে ঘটবে মহা বিপর্যয়?
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিনিয়োগ পৃথিবীতে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। যার ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রাও ঊর্ধ্বমুখী। এই গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের থেকেও বেশি হয়ে যাবে। এই উষ্ণতায় মানুষ তো দুরস্ত কোনো প্রাণীরই বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না।
অতীতেও ঘটেছিল এমন ঘটনা
যে বিজ্ঞানীরা এই এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তাদের টিমের প্রধান আলেকজান্ডার ফার্নসওয়ার্থ জানাচ্ছেন, ৬৬ মিলিয়ন বহকার আগেও পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রথমে সব শুকিয়ে গিয়েছিল। এরপর অজ্ঞেয়গিরি বিস্ফোরণ শুরু হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশ আগ্নেয়গিরিতে ভরে যাওয়ার ফলে উষ্ণতা অত্যাধিক বেড়ে যায় ও মানুষ সহ সমস্ত প্রাণীদের মৃত্যু হয়। এমনকি ডায়নোসররাও এই সময়েই বিলুপ্ত হয়ে যায়।