নিউজ শর্ট ডেস্ক: ভ্ৰমণ পিপাসু বাঙালির কাছে আবেগের আরেক নাম হল দার্জিলিং (Darjeeling)।পাহাড়প্রেমীরা প্রায় সারা এখন ছুটি কাটাতে সমতল ছেড়ে ছুটে যান পাহাড়ের দিকেই। আর এই গরমে তো ব্যাগপত্র গুছিয়ে হুড়মুড়িয়ে প্রায় সকলেই টিকিট কাটছেন নর্থ বেঙ্গলের (North Bengal)।
সময়ের সাথে সাথে, দিনে দিনে বাড়ছে দার্জিলিং-এর প্রতি পাহাড়প্রেমীদের আকর্ষণ। আসলে দার্জিলিং এমনই একটি জায়গা যেখানে বারবার গেলেও তা কখনও পুরনো হওয়ার নয়। আর এখন পর্যটকদের পকেটের কথা ভেবে গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে থাকা খাওয়ার খরচেও রয়েছে ঢালাও অপশন।
তাই এখনকার দিনে ঠিক মতো প্ল্যান করতে পারলে অনেক কম খরচেই ঘুরে আসা যায় দার্জিলিং। চার গ্রূপ হলে কিংবা তার থেকে বেশি যদি ৭-৮ জনের গ্রূপ হয় তাহলে খরচ ভাগাভাগি হওয়ার পর দেখা যাবে অনেক কম খরচেই মনের আনন্দে দার্জিলংয়ে ছুটি কাটানো যাবে।
এখানে বলে রাখি শুধু নর্থ বেঙ্গল নয়, যে কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলেই যত বড় দল হবে খরচের অঙ্ক তত কমবে। দার্জিলিং যাওয়ার জন্য সবার প্রথমেই কেটে ফেলতে হবে নর্থবেঙ্গলগামী যে কোনও ট্রেনের টিকিট। তবে যদি কারও মনে হয় নর্থ বেঙ্গল ঘুরতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের ভাড়াটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে তাহলে তিনি এখন চাইলেই ধর্মতলা থেকে বাস ধরে সহজেই চলে আসতে পারেন নিউ জলপাইগুড়িতে।
আরও পড়ুন: দরকার পড়বে না আঠার! RBI-র এই নিয়ম জানলেই রমরমিয়ে চলবে ছেঁড়া-ফাটা নোট!
তবে বাসের খরচেও রয়েছে বেশ কিছু হেরফের। আসলে স্লিপার বাসের টিকিটের দাম একটু বেশি। তাই কম বাজেটে ঘুরতে চাইলে যেতে পারেন সেমি স্লিপার ভলভো বাসে।দলে কম লোক থাকলে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়ি করেই পৌঁছে যেতে পারেন দার্জিলিং ।তবে যদি বাজেটের সমস্যা না থাকে তাহলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যান টয়ট্রেনে করেই। যা নিসন্দেহে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে।
কোথায় হোটেল নেবেন?
ম্যালের উপরে হোটেলের দাম সারা বছরই বেশি থাকে। তবে আস্তাবলের পাশের রাস্তাতেও অনেক কম দামের হোটেল থাকে। সেখানে প্রতি দিনের হিসাবে ৭০০-১০০০ টাকায় ঘরভড়া পাওয়া যায়। এই ঘরগুলিতে হেসেখেলে ৩জন থাকা যায়। মহাকাল মন্দিরের নিচের রাস্তাতেও অনেক কম বাজেটে হোটেল পাওয়া যায়।এছাড়া ঘড়িঘরের উলটো দিকের গলিতেও কম দামে হোটেল পাওয়া যায়।
দার্জিলিং গিয়ে কোথায় কোথায় খাবেন?
দার্জিলিং পৌঁছানোর পরদিন সকালে ক্যাভেন্টার্সে ব্রেকফাস্ট করা যেতে পারে। যদিও ওদের বিখ্যাত প্ল্যাটারের দাম বেশি, তবে খুব ভালোভাবেই ২-৩জন শেয়ার করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও খেতে পারেন কুঙ্গাতে। এখানে অসাধারণ তিব্বতী ও চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়। এখানকার খাবারের ব্যাপক চাহিদা থাকে।এছাড়াও দার্জিলিং-এর নতুন কফি হাউজ, কিংবা গ্লেনেরিজও খেতে পারেন। তাছাড়া লোকাল বেকারির কেকও কিন্তু ভুললে চলবে না।