পুরো দুটো দশক পেরিয়ে গেছে ‘দেবদাস’ ছবির। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি আলাদাই রেকর্ড গড়েছিল সেইসময়। শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই, মাধুরী দীক্ষিতকে নিয়ে সঞ্জয়ের বানানো ‘দেবদাস’ ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বিগ বাজেট ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম৷ ২০০২ সালের ১২ জুলাই মুক্তির পরেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছায় ছবিটি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রয়াত কিংবদন্তি সাহিত্যিক ‘শরৎচন্দ্র চট্ট্যোপাধ্যায়’র লেখা উপন্যাস দেবদাসের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয় এই ছবিটি। যদিও তার আগেও বলিউড বেশকয়েকবার এই উপন্যাসকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। তবে নতুন আঙ্গিকে বানানো সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘দেবদাস’কেই বেশি আপন করে নেন দর্শকরা।
এমনকি তখনকার দিনে ছবিটি প্রিমিয়ারের জন্য ‘কান’ অবধি পৌঁছে যায়। ছবিতে প্রত্যেকের অভিনয়ের পাশাপাশি নজর কেড়েছিল ছবির চিত্রায়ন। দেবদাস, পার্বতীর বাড়ি থেকে শুরু করে চন্দ্রমুখীর কোঠার অন্দরসজ্জা, সবেতেই ছিল আভিজাত্যের ছাপ। বেশ যত্ন করে সেট সাজিয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বানসালি।
এখন বনশালির সিনেমা মাত্রই যে ঝাঁ চকচকে সেট, তার শুরু কিন্তু এই ‘দেবদাস’ থেকেই। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ বছর আগে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে খরচ হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা৷ তখনকার দিনে এটি একটি আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো বিষয় তো বটেই।
জানা যায়, দেবদাস ছবির পুরো সেটটি তৈরি করতেই খরচ হয়েছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। যা তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ৯ মাস। এছাড়া সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিত অর্থাৎ চন্দ্রমুখীর পতিতালয়ের সেট তৈরি করতে। এদিকে চন্দ্রমুখীর লেহেঙ্গা ও পার্বতীর শাড়ির জন্য কলকাতার বাজার চষে বেরিয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বানসালি। সেইসময় তারা কলকাতা থেকে প্রায় ৬০০টি শাড়ি মুম্বই নিয়ে গিয়েছিলেন।
একটি গানের শুটিংয়ের সময় মাধুরী ও ঐশ্বরিয়া যে শাড়ি পরেছিলেন তার দামই ছিল প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর ঐশ্বরিয়া অর্থাৎ পারোর একটি ঘর সাজাতে খরচ হয়েছিল ৩ লাখ টাকারও বেশি। শেষদিকে ছবির বাজেট দেখে বিপাকে পড়েন প্রযোজক ভরত শাহ্। যদিও সিনেমাহলে মুক্তি পাওয়ার পর তো বাকিটা ইতিহাস।