নিউজশর্ট ডেস্কঃ জি বাংলার(Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা'(Kar Kache Koi Moner Kotha)। সেই শুরুর দিকে এই ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে সমালোচনা হলেও তারপর ধীরে ধীরে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে এই সিরিয়াল। আর তাই টিআরপি তালিকাতে ও প্রত্যেক সপ্তাহে সেরা ১০-এ জায়গা করছে মানালি দে অভিনীত এই ধারাবাহিক। সমাজে মেয়েদের জীবনের বাস্তব চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে এই ধারাবাহিকে।
এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিক যারা নিয়মিত দেখেন, তারা জানেন পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে শতদ্রুর সঙ্গে নতুন জীবন শুরুর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল শিমুল। কিন্তু শতদ্রুর মা সকলের সামনে শিমুলকে যেভাবে অপমান করেছে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি এই সম্পর্কে মোটেই খুশি নন।
শিমুলও বুঝতে পারে যে, শতদ্রুর মা আর তাকে কখনোই মেনে নেবে না। এই ধারাবাহিকের গল্প অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। যদিও শতদ্রুর মা অপমান করার পর শতদ্রু শিমুলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ছুটে এসেছে। কিন্তু শিমুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে যেই শাশুড়ি তাকে লোকের সামনে এত অপমান করেছে। যে বাড়িতে তাকে মেনে নেওয়া হবে না সেখানে সে কোনভাবেই যেতে চায় না।
এরপর শতদ্রু স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে এখন আর শিমুলের কাছ থেকে ফেরা সম্ভব নয় তার পক্ষে। তবুও কিছুতেই শতদ্রুর হাত ধরতে রাজি নয় শিমুল। এত বোঝানোর পরেও যখন শিমুল কিছুতেই রাজি হয় না। তখন শতদ্রু রেগে গিয়ে শিমুলকে বলে, ‘এই কারণেই কি পরাগকে ডিভোর্সটা দিতে চাইছে না সে? সুযোগ খুঁজছে যাতে পালানো যায়? মায়ের অপমানকে বাহানা করছে?’ কিন্তু শিমুল কাঁদতে কাঁদতে বারে বারে শতদ্রুর মায়ের কথা বলতে থাকে।
View this post on Instagram
অন্যদিকে বাড়ি গিয়ে শিমুল পরাগকে জানিয়ে দেয় যে ডিভোর্সের পিটিশনে সে সই করে দিয়েছে। আর এই কথা জানতে পেরে মধুবালা ছুটে এসে তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শিমুল নিজের সিদ্ধান্তে একেবারেই অটল। অর্থাৎ এখন বোঝাই যাচ্ছে শিমুল শতদ্রুর কাছে যেতে চাইছে না এবং পরাগের সঙ্গেও সংসার করবে না। তাহলে আগামী দিনে কিভাবে নিজের জীবন কাটাবে শিমুল? একা কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সবকিছু? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী পর্বে।