জি বাংলার ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ও ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শ্যামলী অনিকেতের জুটি দর্শকদের অন্যতম পছন্দের জুটি হয়ে উঠেছে। শুধু এই জুটিই নয়, বর্তমানে রোহিনী আর মন্দারের জুটিও দর্শকদের কাছে সেরা একটি জুটি। অনিকেতের মনে নিজের জন্য একটু ভালোবাসা আদায় করে নিতে শ্যামলী অনেক পরিশ্রম করেছে। কিন্তু অনিকেত তার দাম দেয়নি।
সবশেষে সে অহনার হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছে। তবে শ্যামলীও ঠিক করেছে সে অনিকেতের কাছে আর নিজে থেকে যাবেনা। অনিকেতকেই নিজের ভুল স্বীকার করে ফিরে আসতে হবে। অনিকেত বাড়ি ছাড়ার সাথে সাথে নিজেদের পারিবারিক ক্যাটারিংয়ের ব্যবসাটাও ছেড়ে দিয়েছে। যেটা বর্তমানে শ্যামলী দ্বায়িত্ব নিয়ে সামলাচ্ছে। অনিকেত যে কোম্পানিতে চাকরি করতে শুরু করেছে।
শ্যামলী সেই অফিসের ক্যান্টিনের কাজ নিয়েছে। মন্দার আর শ্যামলী একা হাতে গ্রেট বেঙ্গল ক্যাটারারের কাজ সামলাচ্ছে। আর অফিসের সবাইকে ভালো ভালো খাবার পরিবেশন করে তাদের মন জিতে নিচ্ছে। এদিকে অনিকেত সব দেখেও মুখ খুলতে পারছেনা। নিজের পরিচয় অফিসে গোপন রাখতে। শ্যামলী আর অনিকেত এখন মুখোমুখি হলেও সকলের সামনে তারা অপরিচিত।
তবে মন্দারের সাথে শ্যামলীকে দেখে বারবার হিংসায় জ্বলে উঠছে অনিকেত। অনিকেতের অফিসে অনুষ্ঠানে শ্যামলী মন্দারের সাথে জুটি বেঁধে নাচলে অনিকেত শ্যামলীকে কথা শোনাতে থাকে। তবে শ্যামলী অনিকেতকে প্রশ্রয় না দিয়ে কড়া ভাষায় অনিকেতকে নিজের জায়গাটা বুঝিয়ে দেয়। অনিকেত যে শ্যামলীর প্রতি অধিকার হারিয়েছে তা মনে করিয়ে দেয়।
এদিকে অনিকেত অফিসে তীর্থঙ্করের কারসাজির কারণে কাজে ব্যর্থ হয়। যার কারণে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। বেশ ভেঙে পরে অনিকেত। আর রাস্তায় অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটতে থাকে। আর ঠিক তখনই দেখা যায় পিছন থেকে একটা বড় গাড়ি অনিকেতকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। আর অনিকেত রাস্তায় পড়ে যায়। শ্যামলীও অসস্থিতে ভুগতে থাকে অনিকেতের কেন বিপদের আশঙ্কায়। এবার কি আবার অনিকেত শ্যামলী এক হয়ে যাবে? সেটাই দেখার অপেক্ষায় দর্শক।