নিউজশর্ট ডেস্কঃ অনেকেই আছেন যারা মোটা টাকা প্রত্যেক মাসে রোজগার করেন, কিন্তু এক টাকাও সঞ্চয় করতে পারেন না। আর এই স্বভাব ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত খারাপ এবং অনুচিত বলে মনে করেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যখন থেকে বেতন পাওয়া শুরু হয় সেই সময় থেকেই প্রত্যেক মাসে কিছু টাকা আলাদা আলাদা করে জমানো উচিত।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসের মতোই সঞ্চয় হলো মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। এটি যত তাড়াতাড়ি শুরু করবেন তত আপনার লাভ হবে। এক্ষেত্রে আপনার যদি প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন থাকে। তাহলে কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ(Investment) করবেন আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।
এখন আর শুধু ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিস নয়, এছাড়াও সঞ্চয়ের জন্য অনেক অপশন আছে। আপনি যদি মোটা টাকা রিটার্নের আশা করে থাকেন। তাহলে অল্প রিস্ক নিলে আপনি এসআইপিতে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে মোটা টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। তবে এই এসআইপিতে অর্থ বিনিয়োগের আগে আপনার কোথায় কি খরচ হচ্ছে? সমস্ত কিছুর সঠিক হিসাব তৈরি করে রাখতে হবে। তারপর যে টাকা বাঁচছে সেই টাকা প্রত্যেক মাসে বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দ করতে হবে।
বিনিয়োগের জন্য একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের স্কিমে আলাদা আলাদা ভাবে টাকা রাখতে পারবেন। সবসময় চেষ্টা করবেন একাধিক স্কিমে আলাদাভাবে টাকা ভাগ করে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ৫০-৩০-২০ মেনে চলা উচিত এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ হচ্ছে আপনার প্রতিদিনের খরচ আর বাকি ৩০ শতাংশ কোন দরকার বা ইচ্ছের জন্য খরচ করলেন আর বাকি ২০ শতাংশকে অবশ্যই আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে।
ধরুন কেউ যদি প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে, তাহলে ২৬ বছরের থেকে একটু বেশি সময়ে ১ কোটি টাকা জমানো যাবে। আবার কেউ যদি প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা বা বেতনের ৩০% বিনিয়োগ করে তাহলে ২৩ বছর ১ কোটি টাকার তহবিল গড়ে তোলা যাবে। এক্ষেত্রে ১২ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন মেলে এসআইপিতে।