নিউজ শর্ট ডেস্ক: বছরের শেষ দিনেও দেখা নেই শীতের (Winter)। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। তাই এবছর ৩১শে ডিসেম্বরের রাতে কনকনে ঠান্ডায় বর্ষবরণের আমেজটাই মাটি হল বঙ্গবাসীর। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে রাজ্যবাসী শীতের উপস্থিতি টের পেলেও তারপর আচমকা চড়তে থাকে শীতের পারা।
যা গড়ালো বছরের শেষ অবধি। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রবিবার সকালের দিকে কনকনে হাওয়ার ভালোই দাপট ছিল। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গেই মোড়া ছিল কুয়াশার চাদর।পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও ছিল কুয়াশা। কিন্তু কেন ডিসেম্বরের শেষদিনেও কেন শীতের আকাল?
হাওয়া অফিস বলছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই রাজ্যে হাল বেহাল শীতের। আগামী ৭ দিনেও শীতের কামব্যাক করার কোনো আশা নেই। উল্টে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।রবিবার বছরের শেষ দিনে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৬ শতাংশ, আর সর্বনিম্ন আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৯ শতাংশ। বছরের শেষ দিনে ভোর থেকেই জেলায় জেলায় ঢেকেছে ঘন কুয়াশার চাদর। একই ছবি বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরেও। অন্যদিকে বছরের শেষদিনে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু ডুয়ার্সবাসী। পারদ নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে আবার কামব্যাক করবে শীত! বিরাট সতর্কবার্তা জারি আবহাওয়া দফতরের
বর্ষশেষে কুয়াশাচ্ছন্ন জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক, রেললাইন।উত্তুরে হাওয়ার সাথেই জলপাইগুড়িতেও পড়েছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে এই ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এরফলে পুবালী হাওয়ার সাথেই প্রবেশ করছে জলীয় বাষ্প। এই জলীয় বাষ্পের প্রভাবেই বাতাসে বেড়েছে আর্দ্রতা। আর আর্দ্রতা বৃদ্ধির সাথেই শীত গায়েব রাজ্য থেকে।