নিউজ শর্ট ডেস্ক: নাহ, ডিসেম্বরের (December) শেষেও শীতের (Winter) দেখা নেই! তাই কনকনো ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। ২৫শে ডিসেম্বরের পর নতুন বছরকেও এবার স্বাগত জানাতে হবে শীতের আমেজ ছাড়াই। অন্যদিকে শীতের দেখা না পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা।কেউ কেউ বলছেন শীতের অন্তর্ধান রহস্য খুঁজতে এবার দরকার পড়বে বাংলা সাহিত্যের দুই বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদা কিংবা ব্যোমকেশ বক্সীর।
প্রতিদিন ভোর বেলায় কুয়াশায় চাদরে মুড়ে থাকছে গোটা বাংলা (Bengal)। আর বেলা বাড়ার সাথেই বাইরে ঝলমলে রোদ। এই সময় গরম জামাকাপড় গায়ে রাখা রীতিমতো অসহ্যকর হয়ে উঠছে। তবে রাতের দিকে যে একেবারে কনকনে ঠান্ডা পড়ছে তাও কিন্তু বলা যায় না একেবারেই। রাজ্যজুড়ে যে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে তা বজায় থাকবে আগামী পাঁচ দিন।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) জেলাগুলিতেও আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকবে। সম্ভাবনা নেই বৃষ্টিপাতেরও। তবে নতুন বছর পড়তেই তিন থেকে চার তারিখের পর থেকে বিরাট বদল আসবে আবহাওয়ার। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর,বাংলাদেশে তৈরী ঘূর্ণাবর্তের কারণেই বঙ্গে উধাও শীত। আসলে জলীয় বাষ্প সঙ্গে নিয়েই বাংলায় ঢুকে পড়েছে পুবালী হাওয়া। শনিবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করছে বাংলায়।
তাই ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি এই সময় শীতকাল হলেও বর্তমানে পারদ ঊর্ধ্বমুখী।কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭-১৯ ডিগ্রি আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রির কাছাকাছি। তাই ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই কমবে ঠান্ড। তবে সমতলে গায়ে গরম জামা চাপানো অসহ্যকর হলেও পাহাড়ে কিন্তু ভালোই ঠান্ডা।
আরও পড়ুন: খরচ নামমাত্র, বেড়িয়ে আসুন কলকাতার কাছের জমিদারি লোকেশনে, নিজেকে মনে হবে জমিদার!
আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এই দুই জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে বেড়েছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাহাড়ি এলাকায় আপাতত তুষারপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তর পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ।