ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী মানুষ হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। বাবা ধীরুভাই আম্বানির (Dhirubhai Ambani) প্রতিষ্ঠিত রিলায়েন্স (Relience) ইন্ডাস্ট্রিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন তিনি। আজ বিশ্বের সেরা ধনীদের সাথে তার নাম উচ্চারিত হয়। তবে এহেন মানুষটির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কয়জনই বা জানেন?
জেনে হয়ত অবাক হবেন যে, মুকেশ আম্বানির জন্ম কিন্তু ভারতে হয়নি। তিনি মূলত, ইয়েমেনে জন্মেছিলেন। এরপরেই গোটা আম্বানি পরিবার চলে আসেন ভারতে। ভুলেশ্বরে শুরু করেন বসবাস। সেই সময়টা ভালোই কষ্টে কেটেছিল তাদের। একটা ছোট্ট জায়গাতে মা-বাবা এবং চার ভাইবোন মিলে থাকতেন।
তবে মুকেশের পড়াশোনার বিষয়টা বেশ অবাক করার মত। জেনে অবাক হবেন যে, এতবড় ধন কুবের তার পড়াশোনাটাও শেষ করতে পারেননি। শোনা যায়, মুকেশ তার পড়াশোনা শেষ করে উঠতে পারেনি। খুব অল্প বয়সেই পড়াশোনা ছেড়ে বাবার ব্যবসার কাজে মন দিতে হয়েছিল তাকে।
মুকেশ আম্বানি স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এর আগে মুম্বাই ইউনিভার্সিটি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তবে এমবিএ-র পড়াশোনা আর শেষ করতে পারেননি তিনি। তাছাড়া তার বাবাও চাননি নিজের ছেলেদের কেবল পুঁথিগত শিক্ষায় আবদ্ধ রাখতে।
ধীরুভাই আম্বানি চেয়েছিলেন তার ছেলে মুকেশ প্রথাগত শিক্ষার তুলনায় বিশ্বসম্পর্কিত জ্ঞান বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে বেশি করে জানুন। এই কারণে বাড়িতেই তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এক গৃহ শিক্ষক এসে মুকেশ আম্বানিকে বাড়িতে পড়িয়ে যেত।
বিবাহিত জীবনের কথা বললে, একটি নাচের অনুষ্ঠানে নীতাকে দেখেছিলেন তিনি। সেখানেই ছেলের বউ হিসেবে নিতাকে খুবই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল ধীরুভাই এবং তার স্ত্রীর। শোনা যায়, এরপর একদিন মুম্বাইয়ের ট্রাফিক আটকে গাড়ির মধ্যে নীতাকে প্রপোজ করে মুকেশ। যদিও তাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ৭ বছরের, তবে আজও বেশ সুখেই আছেন তারা।