নিউজ শর্ট ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indian Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) নিজেই ব্র্যান্ড। তিনি যা পরেন সেটাই আমজনতার কাছে স্টাইল স্টেটমেন্ট। এমনিতে বরাবরই ফ্যাশন দুরস্ত মোদির সাজ পোশাক (Dress) নিয়ে আগ্রহ থাকে রয়েছে সাধারণ মানুষের। তাঁরস্টাইল স্টেটমেন্ট বরাবরই নজরকাড়া। একটা সময় ব্যাপক ট্রেন্ডিং-এ ছিল মোদির নেহেরু কোট। এখনও বিয়ে বাড়িতে গেলেই দেখা যাবে অনেকেই বন্ধ গলার নেহেরু কোট পরে এসেছেন।
সময় বিশেষে নিজের পোশাকে বদল আনেন মোদী। তাই কখনও তাঁর মাথায় থাকে বিশেষ পাগড়ি,আবার কখনও গলায় পরেন বিশেষ উত্তরীয়, কিংবা থাকে বিশেষ কায়দায় নেওয়া শাল। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান বিশেষে, জায়গা বিশেষে প্রধানমন্ত্রীর পোশাকে থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। তাই তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট কিংবা পোশাক সবসময়ই থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কেউ বলেন তাঁর এক একটি পোশাকের দাম লাখের ওপর। আবার কারও দাবি তাঁর নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইনার (Fashion Designer) আছে। তবে আসল সত্যিটা কি?
একবার আপ কি আদালত-শোতে উপস্থিত দর্শকদের এমনই এক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দর্শক আসন থেকে এক মহিলা কৌতূহল বশে প্রশ্ন করে ফেলেছিলেন ‘স্যার আপনার পোশাক বেশ সুন্দর হয়, আপনার কী কোনও ডিজাইনার রয়েছে?’ প্রশ্ন শুনেই হাসিমুখেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এখন তিনি এমন জায়গায় পৌঁছেছেন যে তাকে নিয়ে হামেশাই অনেক কথা হয়। তবে অতীত জীবনের স্মৃতি হাতড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি যখন বাড়ি ছেড়েছিলেন তখন নাকি একটি ছোট ঝোলাতেই তার সব জিনিস থাকত।
প্রধানমন্ত্রীর কথায় ‘আমি প্রায় ৪০ বছর ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছি। এই ৪০ বছর আমি ভিক্ষা করে খেয়েছি। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভিক্ষা করে যা পেতাম তাই খেতাম। জিনিস তাই কম রাখতে হতো। নিজেকেই পোশাক ধুতে হতো। তাই একটা সময় ঝোলাতে জায়গা হচ্ছে না দেখে জামার হাতগুলোর সামনের অংশ কেটে দিয়েছিলাম। তবে থেকে কনুই পর্যন্ত শার্ট পরি।’
আরও পড়ুন: ৮৬ বছরের রতন টাটার নিত্যসঙ্গী ৩০ বছরের এই যুবক, পরিচয় জানলে গর্বিত হবেন
সেইসাথে তাঁর সংযোজন ‘গত ২৫-৩০ বছর ধরে এমনই পোশাক পরি আমি। দ্বিতীয়ত আমাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। রঙের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আমি সেই হিসেবেই পোশাক পরি। ঈশ্বর আমায় যা দিয়েছে, তাতে দেখেছি, যে কোনও বিষয়ই আমি ঠিক নিজেকে ফিট করে নিতে পারি। আমার কোনও ফ্যাশন ডিজাইনার নেই, আমার কোনও বিশেষ কোনও উপদেষ্টা নেই। তবে ঠিক, যে একজন ট্রেলর তো লাগেই। তিনি মাপ নিয়ে বানিয়ে দেন। তাই দিয়েই আমার চলছে। তবে একটা বিষয় শুনে আমার ভাল লাগছে যে, আমি যাই পরি, লোকে সেটা পছন্দ করছে। তার মানে আমি ঠিক-ঠাকই আছি।’
প্রসঙ্গত ১৯৭৪ সাল থেকে গুজরাটের দাহোদে সঙ্গম টেলার্সের থেকে হাফ-হাতা পাঞ্জাবি প্রথম পরেন মোদী৷ তবে এখন অমৃত লালজি আর নেই৷ দোকানে বসেন তাঁর ভাই কানহাইয়া লাল এবং ছেলে ধর্মেন্দ্র৷ সম্প্রতি সঙ্গম টেলার্সের জায়গা নিয়েছে ‘জেড ব্লু’৷ উলেখ্য প্রাক-নির্বাচনী পর্ব থেকেই মোদীর পাঞ্জাবি-পাজামার ডিজাইনে বদল আনেন ‘জেড ব্লু’র বিপিন চৌহান৷ পরবর্তীতে মোদীর মার্কিন সফরের আগে এই বিখ্যাত ব্র্যান্ডের থেকে মোদির পোশাক বানানোর বরাত চলে গিয়েছে বিখ্যাত ডিজাইনার ট্রয় কোস্টার কাছে৷