নিউজশর্ট ডেস্কঃ নতুন বছর পড়তে না পড়তেই আবার শীতের আমেজ শুরু হয়েছে রাজ্যে। এতদিন পর্যন্ত ঠিকভাবে ঠান্ডা অনুভূত না হওয়াতে মন খারাপ হয়েছিল রাজ্যবাসীর। তবে এবার ধীরে ধীরে আবার ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। আর এই সময় বহু মানুষ ঘুরতে(Travel) যাওয়ার পাশাপাশি পিকনিক করতে যান। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে জমজমাটি আড্ডা সকলেই ভালোবাসেন।
তবে এর পাশাপাশি এই সময় পর্যটকেরা সবথেকে বেশি বেড়াতে যেতে চান। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এই সময়ে ভিড় থাকে প্রচুর। আপনি নিশ্চয়ই নতুন বছরের কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান শুরু করেছেন! কিন্তু কোথায় যাবেন সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। পকেটেও কিছুটা চাপ আছে তাই অল্প বাজেটের মধ্যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আপনি যদি দূরে কোথাও যেতে না চান এবং আপনার অফিসে বেশিদিন ছুটিও পাননি। তাহলে ধারে কাছে চলে যান।
আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের জন্য উইকেন্ডে ঘুরে আসার জন্য একটি অফবিট লোকেশনের(Offbeat Location) সন্ধান নিয়ে চলে এসেছি। এই জায়গাটি হল বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটি আদিবাসী গ্রাম শিউলিবোনা। এখানে শালের জঙ্গলে মোড়া এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে একবার গেলে বারবার যেতে মন চাইবে আপনার। এখানে খরচও আপনার বাজেটের মধ্যেই থাকবে। আর মাত্র দুদিনের ছুটিতেও ঘুরে আসতে পারবেন এখানে।
এখানে চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এখানেই আপনি অল্প একটু ট্রেক করে উপরে উঠতে পারলে দুর্দান্ত ভিউ দেখতে পারবেন। এখানে পাথরের গায়ে অনেক পুরনো লিপি দেখার সুযোগ পাবেন আপনি। এখানেই সবুজ শালের জঙ্গল রয়েছে। আবার এখানে শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে মুরুতবাহা ইকোপার্ক রয়েছে। খুব সামান্য প্রবেশ মূল্য দিয়ে টিকিট কেটে এই ইকোপার্ক ঘুরে দেখতে পারবেন। আপনি চাইলে এখান থেকে একটু দূরে ফরদপুর পটচিত্র গ্রামেও যেতে পারেন। এখানে প্রত্যেকটি গ্রামে পটচিত্র আঁকা হয়। আর গ্রামবাসীদের হাতের এই শিল্প চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
কিভাবে যাবেন?
এখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে ট্রেনে করে রানীগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে যান। তারপর এখান থেকে টোটো ভাড়া করে শুশুনিয়া পৌঁছে যেতে পারেন। এখানে থাকার জন্য খুব সুন্দর রিসোর্ট রয়েছে। যেখানে খাওয়া-দাওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত করা থাকবে। আর দেরি না করে বেরিয়ে পড়ুন এই সুন্দর লোকেশনের উদ্দেশ্যে।