নিউজ শর্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকে প্রধান নায়িকা শিমুলের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানালি দে’কে। আর তাঁর বিপরীতে নেগেটিভ শেডের প্রধান নায়ক পরাগের (Porag) চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায় (Drronn Mukherjee)।
সিরিয়ালে নিজের স্ত্রীকেই দিন রাত মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে সে। যা দেখে রাগে গা জ্বলতে থাকে দর্শকদের। যার জন্য বাস্তব জীবনেও হামেশাই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় অভিনেতাকে। আর এখানেই বোধহয় একজন অভিনেতার সার্থকতা। পর্দায় তিনি পরাগ চরিত্রটিকে এতটাই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে তা দর্শকদের সত্যি মনে হয়।
প্রসঙ্গত কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালের আগেও একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন দ্রোণ। কিন্তু এই সিরিয়াল থেকে তিনি যে পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তা ইতিপূর্বে কোন সিরিয়াল থেকে পাননি। প্রসঙ্গত পর্দার পরাগ অভিনেতা দ্রোণের ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও মধ্যবিত্ত বাড়িতে বড় হওয়ায় এবং পড়াশোনায় ভালো ছাত্র হওয়ার সুবাদে তাঁর বাবা-মা আশা করেছিলেন বড় হয়ে তিনি কোন ভাল চাকরি করবেন।
গত ১৬-১৭ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি অভিনয় করেছেন ‘স্পন্দন’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘দীপাবলির সাতকাহন’-এর মতো একাধিক ধারাবাহিকে। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে অভিনয় জীবনের একাধিক অজানা তথ্য নিয়ে বর্তমান পত্রিকার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন: সিরিয়ালের ‘কথা’ নয়, বাস্তবে কেমন পাত্রী পছন্দ অগ্নিভর? নিজেই জানালেন সাহেব
সেখানে পরাগ চরিত্র প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন ‘একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করেছি কিন্তু এই প্রোজেক্টে যেমন ভালোবাসা পাচ্ছি, এতটা আগে পাইনি। নানা প্রোজেক্টে কাজ করলেও চলতি ধারাবাহিকের মতো জনপ্রিয়তা এর আগে আসেনি। এই সিরিয়ালে নতুন কিছু অভিনয় করলাম এমন তো নয়। আগে বিভিন্ন ধারাবাহিকে যতটা মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছি, এক্ষেত্রেও তাই। তবে জি বাংলা তো অনেক দর্শকের কাছে পৌঁছয়। গল্পটাও ভীষণ ভাবে দর্শককে ছুঁয়ে যাচ্ছে।’
সেইসাথে অভিনেতা জানিয়েছেন ‘পরাগ’-এর চরিত্রের জন্য প্রথমত চ্যানেল এবং প্রোডাকশনকে ধন্যবাদ। তাঁরা এই সুযোগটা দিয়েছেন। প্রধান পুরুষ চরিত্রে নেগেটিভ শেড সাধারণত ধারাবাহিকে আমরা দেখতে অভ্যস্ত নই। ফলে এটা এক্সপেরিমেন্ট।’