নিউজ শর্ট ডেস্ক: ব্যবসা (Business) তো অনেক রকমেরই হয়! শুধু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বের করতে হবে, কোন ব্যবসায় কিভাবে লাভ করা যাবে? জানলে অবাক হবেন এমনও অনেক ব্যবসা আছে যা আবর্জনা থেকে ফেলে দেওয়া জিনিস কুড়িয়েও করা যেতে পারে। এমনিতে আমাদের দেশে নারকেল গাছের অভাব নেই কোথাও। আর নারকেল এমনই একটা ফল যা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি আরও একাধিক কাজেও লাগে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নারকেলের জল কিংবা শ্বাসটা খেলেও নারকেলের মালা কিংবা ছোবড়া (Coconut Shell) ফেলে দেন।
কিন্তু জানলে অবাক হবেন এখন অনেক মানুষ এই নারকেলের খোলা কিংবা ছোবড়া থেকেই আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। তাই একটু বুদ্ধি করে যদি এই নারকেলের খোলা দিয়ে সুন্দর সুন্দর শোপিস বানিয়ে ঘর সাজানোর উপকরণ কিম্বা একেবারে পরিবেশবান্ধব কাপ-প্লেট কিংবা ছোট বড় বাটি তৈরি করা যায়, তাহলে তা খুব কম সময়ের মধ্যে একটা বিরাট ব্যবসায় পরিণত হতে পারে। শুনতে অবাক লাগলেও এই ফেলে দেওয়া নারকেলের খোলা থেকে ব্যবসা করেই কিন্তু প্রতি মাসে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে।
হ্যাঁ,আপনি ঠিকই পড়ছেন। তাই যারা চাকরি করার পাশাপাশি কিং কিংবা চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা করতে চান তারা কিন্তু ফেলে দেওয়া নারকেল দিয়েই শুরু করতে পারেন ব্যবসা। এমনকি কোন গৃহবধূ-ও বাড়ি বসে এই নারকেলের মালা কিংবা ছোবড়া দিয়েই নানা ধরনের শৌখিন জিনিস তৈরি করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, আপনার বানানো জিনিসটি যেন দেখতে সুন্দর হয় এবং যা দেখা মাত্রই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে।
দক্ষিণ ভারতের কেরলের বাসিন্দা মারিয়া কুরিয়াকোজে এই নারিকেলের খোলা নিয়ে ব্যবসা করার অন্যতম এক জলজ্যান্ত উদাহরণ। একসময় মুম্বাইতে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্পেশালিস্টের চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু এইভাবে অন্যের সংস্থায় চাকরি করা পছন্দ হচ্ছিল না তাঁর। তাই তিনি ঠিক করেছিলেন নিজে কিছু করে দেখাবেন। তখনই তার মাথায় আসে ফেলে দেওয়া আবর্জনা স্তুপে পড়ে থাকা নারকোলের মালার দিয়ে শোপিস তৈরি করার কথা।
আরও পড়ুন: পাত্তা পাবে না মালদ্বীপ-লাক্ষাদ্বীপ! বাংলার এই দ্বীপগুলির সৌন্দর্য পাবে একশোতে একশো
তাই নারকেলের খোলা দিয়েই বিভিন্ন গয়না, ঘর সাজানোর শোপিস, সাবান কেস সাবান কেস তৈরি করা শুরু করেছিলেন মারিয়া। আর এই চিন্তাই রাতারাতি বদলে দিয়েছিল মারিয়ার জীবন। নারকেলের খোলা দিয়ে তৈরি পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র তাকে আজ স্বীকৃতি দিয়েছে গোটা বিশ্বে। এই সংস্থা থেকে প্রতিমাসে ৪ থেকে ৫ হাজার জিনিস বিক্রি করে মারিয়া আয় করেন প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। জানা যায় ব্যবসা শুরু করার মাত্র দু বছরের মধ্যেই তার সংস্থা ‘ঠেঙ্গা-কোকো’ সাফল্যের মুখ দেখেছিল। বাজারে এখন মারিয়ার সংস্থার তৈরি জিনিসের চাহিদা তুঙ্গে।