নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে বাজারে চেয়ে গিয়েছে জাল নোট (Fake Note)। বিশেষ করে ১০০ আর ৫০০ টাকার নোটের জাল করা হচ্ছে বেশি। তাই এবার প্রত্যেক গ্রাহককেই এই টাকার নোট নেওয়ার আগে তা ভালো করে পরীক্ষা করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। তাই ইতিমধ্যেই RBI-এর তরফে নকল নোট চেনার কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
আরবিআই-এর মতে, জাল নোট শনাক্ত করা যেতে পারে এভাবে-
জলছাপ
আরবিআই-এর নোটগুলিতে ওয়াটারমার্ক উইন্ডোতে হাল্কা আলো, ছায়া প্রভাবসহ বহু-দিকনির্দেশক রেখা সহ মহাত্মা গান্ধীর জলছাপ দেখা যায়৷
সিকিউরিটি থ্রেড
আসল নোটে এমবেডেড উইন্ডোজ সিকিউরিটি থ্রেড থাকে যার শিলালিপিতে ‘ভারত’, ‘১০০’ এবং ‘আরবিআই’ লেখা থাকে এবং এটি নোটের উভয়দিকে প্রদর্শিত হয়।
৫০০ এবং ১০০ টাকার নোটে ‘ভারত’ এবং ‘আরবিআই’ শিলালিপি সহ একটি সিকিউরিটি থ্রেড থাকে।
আলোর বিপরীতে ৫০০ এবং ১০০ টাকার নোট রাখা হলে একটি অবিচ্ছিন্ন রেখা দেখা যায়।
আমাদের দেশের ৫টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা এবং ৫০টাকার নোটগুলিতেও ‘ভারত’ এবং ‘আরবিআই’ শিলালিপি সহ একটি পঠনযোগ্য এমবেডেড উইন্ডোতে সুরক্ষা থ্রেড থাকে ।
নোটের নিরাপত্তা থ্রেডের বাম দিকে মহাত্মা গান্ধীর ছবি দেখেও আসল নোট চেনা যায়।
মহাত্মা গান্ধী সিরিজের নোটগুলিতে একটি সাধারণ সুরক্ষা থ্রেড রয়েছে।
সুপ্ত ছবি
৫০০ টাকা,১০০ টাকা,৫০ টাকা এবং ২০ টাকার নোটের বিপরীত দিকে, মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতির ডানদিকে উল্লম্ব ব্যান্ডে টাকার অংকের সাথে সম্পর্কিত একটি সুপ্ত ছবি থাকে। এই সুপ্ত ছবিটি তখনই দেখা যায় যখন নোটটি চোখ বরাবর অনুভূমিকভাবে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: এই স্পেশ্যাল স্কিমে মাসে মাসে ৫০০০ টাকা দিলেই রিটার্ন মিলবে ২৬ লাখ টাকা!
মাইক্রো লেটারিং
নোটের উল্লম্ব ব্যান্ড এবং মহাত্মা গান্ধীর ছবির মধ্যেই দেখা যায় এই মাইক্রো লেটারিং।
৫ ও ১০ টাকার নোটে ‘আরবিআই’ শব্দটি লেখা থাকে ।
তাছাড়াও ২০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের নোটেও ছোট অক্ষরে লেখা থাকে।
ইন্টাগ্লিও প্রিন্টিং
মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি সহ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সীলমোহর, বাম দিকে থাকা অশোক স্তম্ভের প্রতীক কিংবা আরবিআই গভর্নরের স্বাক্ষর হল গ্যারান্টি এবং প্রতিশ্রুতির অঙ্গীকার। ভারতীয় ২০,৫০ টাকা,১০০,৫০০ এবং২০০০ টাকার নোটে খোদাই করা থাকে ইন্টাগ্লিও। যা স্পর্শ করলেই বোঝা যায়।
সনাক্তকারী চিহ্ন
১০ টাকার নোট বাদে, সব নোটের ওয়াটারমার্ক উইন্ডোর বাম দিকে একটি স্বতন্ত্র ইন্টাগ্লিও রয়েছে। এটি বিভিন্ন আকৃতিতে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ ১০০ টাকার নোটে একটি ত্রিভুজ আকৃতির মুদ্রণ থাকে৷ এই সমস্ত চিন্হগুলি অন্ধ ব্যক্তিদের নোট চিনতে সাহায্য করে।
ফ্লুরোসেন্স
আসল নোটের নম্বর প্যানেলগুলি ফ্লুরোসেন্ট কালিতে মুদ্রিত হয়। নোটগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবারও থাকে ।