Travel

Travel: মেঘের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, ভ্যালেন্টাইন্স উইকে সঙ্গীকে নিয়ে চলে যান এই ২ অজানা গ্রামে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে নতুন বছরের প্রথম মাস শেষ হয়ে দ্বিতীয় মাস পড়ে গিয়েছে।  আর এই ফেব্রুয়ারি মাস নতুন দম্পতি থেকে শুরু করে প্রেমিক মানুষদের জন্য ভালোবাসার মাস। এই মাসে বহু মানুষ নিজের সঙ্গীকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে(Travel) বেড়িয়ে পড়েন। আপনিও কি সেই দলে পড়ছেন! প্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে ভালোবাসার সপ্তাহ কাটাতে চাইছেন! তাহলে আপনার জন্য রইল ২ টি নিরিবিলি অসম্ভব সুন্দর অফবিট লোকেশনের(Offbeat Location) খোঁজ। যেখানে একবার গেলে ফিরতে চাইবেন না।

১) শিকারিটার: কালিম্পং জেলার এক নম্বর ব্লকের নিমং গ্রাম পঞ্চায়েতের দলব চন্দ গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো শিকারিটার। এই এলাকা পর্যন্ত পিকনিক স্পট হিসাবে ভীষণ জনপ্রিয়। আর তাই এবার পিকনিক স্পটের পাশাপাশি নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জায়গাটি গড়ে উঠছে। এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য ১০ টি টেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি ছোট বেশ কিছু হোমস্টে আছে। এখানকার স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলছে। এর সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত বিশেষভাবে সাহায্য শুরু করেছে। এখানে থাকা খাওয়া মিলিয়ে একজনের খরচ পড়বে ১২০০ টাকা মতো।

কিভাবে যাবেন? এখানে আসতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যেকোনো গাড়ি খুব সহজেই পৌঁছে দেবে শিকারটার  গ্রামে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এই শিকারটার গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। এখানে টেন্ট ছাড়াও বেশ কিছু ছোট হোমস্টে রয়েছে। যেখানে আপনি অনায়াসে থেকে যেতে পারবেন।

আরও পড়ুন: Travel: রাজপ্রাসাদ থেকে মন্দির, প্লেন থেকে ট্রেন, উইকেন্ডে যেতে পারেন বাংলার এই নতুন লোকেশনে

২) কালিম্পং-এর বং বস্তি গোকুলে: এই জায়গাটি পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে একেবারেই নতুন। আর এই কারনে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে নেই। তবে এখন যেহেতু পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হয়েছে তাই পাহাড়ের সব জায়গাতেই মোটামুটি যাতায়াত করা সম্ভব হয়েছে। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে আপনার। এই পাহাড়ের ঢালে ফসলের চাষ হয়, এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা হল এই কৃষিকাজ। এখানে খাবার দাবারও অত্যন্ত স্বাদের। এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। এই হোমস্টে গুলোতে আবার আধুনিক পরিষেবা মিলবে। সুইমিং পুল থেকে বারবিকিউ-এর ব্যবস্থা সমস্ত কিছুই আছে।

Kalimpong

কিভাবে যাবেন?
এখানে আসতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি করে চলে যেতে হবে সোজা কালিম্পং। এক্ষেত্রে মাথাপিছু খরচ হবে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। এরপরে কালিম্পঙ মোটরস্ট্যান্ড থেকে ছোট চারচাকা গাড়ি ধরতে হবে। চারচাকা গাড়ি মাথাপিছু বাবদ খরচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এই মোটর স্ট্যান্ড থেকে গোকুল যেতে সময় লাগবে খুব বেশি হলে ৩০ মিনিট। আপনি যদি নতুন বছরে পাহাড়ের নিরিবিলি এলাকায় ঘুরতে যেতে চান, তাহলে কম খরচের মধ্যে এই এলাকায় ঘুরে আসতে পারেন।

Papiya Paul

X