নিউজ শর্ট ডেস্ক: ইদানিং আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণ-তরুণীরাই চাকরি ছেড়ে ঝুঁকেছেন নিজের ব্যবসার দিকে। কিন্তু ব্যবসা তো আর চাইলেই করা যায় না! তার জন্য দরকার হয় পুঁজির। আবার কম পুঁজির এমনই একটি লাভজনক ব্যবসা হল রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা (Readymade Dress Business)। এই ব্যবসা করে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি প্রশস্ত হয় স্বাবলম্বী হওয়ার পথ।
এটি এমন একটি ব্যবসা যা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি পূরণ করবে চাহিদা। এমনকি এই ব্যবসা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আয়ের পথ প্রশস্ত করবে। রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যার চাহিদা থাকে ১২ মাস। এটি অত্যন্ত সফল একটি ব্যবসা হিসাবে পরিচিত। গ্রাহকদেরও খুব সহজে আকৃষ্ট করা যায়।
পৃথিবীতে প্রায় সবাই রেডিমেড জামাকাপড় পরেন। অনেকে আবার শখ করেও দামি পোশাক পরেন। তাই বাজারে এখন স্টাইলিশ ট্রেন্ডিং জামাকাপড়ের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। তবে রেডিমেড কাপড়ের দোকান খোলার আগে অবশ্যই লোকেশন বেছে নিতে হবে। নিজস্ব দোকান থাকলে আরও ভালো হয়। আর দোকান না থাকলে ভাড়াও নেওয়া যেতে পারে। তবে এমন জায়গায় দোকান করতে হবে যেখানে বেশি লোক সমাগম হয়।
রেডিমেড জামাকাপড় কিনতে গেলে , প্রথমেই এমন কোনো ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে, যাদের কাপড়ের কারখানা আছে। এক্ষেত্রে কেউ চাইলে দিল্লির গান্ধী বাজার বা গুজরাটের সুরাট থেকে রেডিমেড জামা কাপড় কিনে আনতে পারেন। কারণ এখানে অনেক কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায়, যা থেকে অনেক লাভ হবে।
আরও পড়ুন: Lic-র এই স্কিমে ঢালুন পয়সা, অল্প বিনিয়োগে মিলবে ২৫ লাখ রিটার্ন!
এখানে বলে রাখি এই দোকানের জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পিছনে খুব বেশি টাকা ব্যয় করা যাবে না। তবে দোকানে আসবাবপত্র এবং আলোর দিকে বেশি বেশি ফোকাস করলে ভালো হয়। কারণ এসব জিনিস গ্রাহকদের আকর্ষণ করে।এছাড়া দোকানের বাইরে কিছু শো পিস রাখা যেতে পারে।
তবে পোশাকের ব্যবসায়, একজন বিক্রেতার দক্ষতা অনেক বেশি জরুরি।তার কথা বলার ক্ষমতা গ্রাহকদের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কেউ যদি একটি ছোট কাপড়ের দোকান খুলে এই ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে তাকে দোকানের ভাড়া কমপক্ষে দুইজন কর্মচারী রাখতে হবে। তাদের পারিশ্রমিকের পাশাপাশি যোগ হবে লাইট বিলের খরচও।