নিউজশর্ট ডেস্কঃ শীতের আমেজ শেষ হতে না হতেই বসন্তের আগমনে চারিদিক যেন এক অন্যরকমের ভালোলাগা শুরু হয়েছে। এই সময় প্রকৃতিও একেবারে অন্যরকম মেজাজে সেজে ওঠে। আর এই সুন্দর মরশুমেও বহু মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা শান্তিনিকেতনে(Shantiniketan) যাওয়ার প্ল্যান করেন। এই সময় শান্তিনিকেতনের পরিবেশ একেবারে অন্যরকম ভাবে সেজে ওঠে।
আপনিও যদি শান্তিনিকেতন যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব এক বিখ্যাত উৎসব। এই সময়ে বহু মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নানা রকমের শিল্পকলা থেকে শুরু করে সংস্কৃতি সমস্ত কিছুই দেখার পাশাপাশি এই দোল যাত্রার উৎসবে বোলপুর অন্যভাবে সেজে ওঠে।
যদিও চলতি বছরে বসন্ত উৎসব কবে হবে? তা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও এই শান্তিনিকেতনের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী উৎসবের আগের দিন বৈতালিক হয় এবং পরের দিন ভোরবেলাতেও বৈতালিক হয়। বিশ্বভারতী, আনন্দ পাঠশালা, পাঠভবন এই জায়গার সব পড়ুয়ারা একত্রিত হয়ে দু’ঘণ্টার অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করেন। এরপরে শুরু হয়ে যায় আবির খেলা।
আরও পড়ুন: Travel: ছবির মত সুন্দর, দার্জিলিংয়ের এই ৫ অজানা লোকেশনের খোঁজ জানেন না অনেকেই
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের জন্য হোটেল বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে আপনি যদি প্রথমবার এই শান্তিনিকেতনে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। তাহলে আপনি এই জায়গাগুলো ঘুরে আসতে পারেন কাঁচমন্দির, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাস, খোয়াই/সোনাঝুরি হাট, বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক, গীতাঞ্জলি রেল মিউজিয়াম, কঙ্কালিতলা, ছাতিমতলা, আশ্রমপ্রাঙ্গণ, রবীন্দ্র ভবন মিউজিয়াম , কলাভবন , কোপাই নদী , সৃজনী শিল্পগ্রাম, বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক, সুরুল জমিদারবাড়ি।
কিভাবে যাবেন? এখানে যেতে হলে আপনাকে ট্রেনে বাসে বা নিজের গাড়ি করে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন। এখানে থাকার জন্য হোটেল, রিসোর্ট, হোমস্টে ও কিছু লজ রয়েছে। আর শান্তিনিকেতনে ঘোরার জন্য আপনি টোটো বুক করতে পারেন। দুদিন থাকার জন্য একেবারে পারফেক্ট জায়গা এই শান্তিনিকেতন।