নিউজশর্ট ডেস্কঃ এই পৃথিবীতে এমন কিছু আশ্চর্য জিনিস রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ কমবেশি সকলের মধ্যেই রয়েছে। এক কথায় এ পৃথিবী সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে সবার মধ্যেই। আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে পৃথিবীর সম্পর্কে এমন একটি অজানা তথ্য শেয়ার করব। আপনারা কি জানেন পৃথিবীর শেষ শহরটার নাম কি? কোথায় রয়েছে এই পৃথিবীর শেষ শহর?
এই বিষয়টা নিয়ে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর অবশেষে পৃথিবীর শেষ অংশের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবেদনে এই বিষয় সম্পর্কেই আপনাদেরকে জানানো যাক। পৃথিবী গোলাকার তাই প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর হয়তো শেষ বলে কিছুই নেই। কিন্তু বহু বিজ্ঞানীদের গবেষণায় পৃথিবীর শেষ অংশের চিত্র সামনে এসেছে।
যদিও এই গবেষণার ক্ষেত্রেও নানা বিশেষজ্ঞ নানা রকমের মত দিয়েছেন। ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্স বা রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের ইয়ামান পেনিনসুলা বা চিলির কেপহর্নকে পৃথিবীর শেষ অংশ বলে দাবি করেছেন কিছু বিজ্ঞানী। আবার এই শহরগুলিকে পৃথিবীর শেষ অংশের পরিবর্তে পৃথিবীর সীমানা বলে অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন।
কেউ কেউ আবার মনে করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার একেবারে দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত আর্জেন্টিনার উসুইয়াই শহরকে এই পৃথিবীর শেষ শহর হিসেবে গণ্য করা হয়। বিখ্যাত পর্তুগিজ আবিষ্কারক ম্যাজেনাল-ই ‘টিয়েরা দেল ফুয়েগো’ নাম দিয়েছেন। এদেশে শুধুমাত্র ইউরোপিয়রা এখন বাস করেন। আগে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে যেতে দু বছর সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন দুদিনে আমেরিকা থেকে পৌঁছানো যায়।
আপনি যেতে চাইলে রাজধানী বুয়েন্স এয়ার্স থেকে পম্পাসো পাতাগুনিয়া পেরিয়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারেন।এই শহরের চারিদিকে রয়েছে দুর্গম পাহাড়, রয়েছে উত্তাল সমুদ্র। এখানে একটি জেল রয়েছে। যেটি এখন ঐতিহাসিক মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে।
ইউরোপীয়রা এখানে আসার আগে ইয়াগালেস উপজাতিরা এখানে বসবাস করত। উশুইয়াইতে বিল্ডিং সেলসিয়ান এখনো আছে। এখানে মাত্র ৫৭ হাজার মানুষ বসবাস করে। এই শহরের আয়তন মাত্র ২৩ বর্গ কিলোমিটার। এখানে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা কখনও ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। কখনো আবার ২০ ডিগ্রি হয়ে যায়।