নিউজ শর্ট ডেস্ক: এবার গ্রাহকদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার জন্য ডাইরেক্ট টু মোবাইল (D2M) প্রযুক্তি নিয়ে আসছে মোদী সরকার (Modi Govt)। এরফলে আগামীদিনে সররাসরি মোবাইলেই (Mobile) চলবে সমস্ত টিভি চ্যানেল (TV Channel)। সবচেয়ে মজার বিষয় তার জন্য কোনো ডিটিএইচ বা কেবল টিভি লাগানোর দরকার হবে না।
এই প্রযুক্তির ওপর লম্বা সময় ধরে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের (DoT) টেকনোলজি ভেঞ্চার টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার কাজ করে চলেছে। এই ডাইরেক্ট টু মোবাইল প্রযুক্তির ওপর ইতিমধ্যেই তারা নিজেদের চূড়ান্ত খসড়াও জমা করে দিয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতামত-ও নেওয়া হয়েছে।
D2M প্রযুক্তি কি?
ভারতে দিন দিন বাড়ছে ছোট টিভির চাহিদা। অনেকে আবার ইন্টারনেটের সাহায্যে স্মার্ট টিভিতেও ইউটিউবের মতো অ্যাপে হরেকরকম ভিডিও কিংবা সিনেমা দেখাছেন। তবে এক্ষেত্রে টিভি চ্যানেল লাইভ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না কেউই।
এবার এই সমস্যার সমাধান করতেই সরকারের তরফে একটি নতুন প্রযুক্তি চালু করা হচ্ছে। এরফলে কোনো বহিরাগত অ্যান্টেনা বা সেট-টপ বক্সের সাহায্য ছাড়াই সরাসরি মোবাইলে লাইভ টিভি দেখা যায়। এই প্রযুক্তিতে মোবাইল ফোনেই সরাসরি এমন অ্যান্টেনা বসানো হবে, যার সাহায্যে মোবাইলেও লাইভ টিভি চ্যানেল দেখা যাবে। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে, একটি অভ্যন্তরীণ TEC কমিটি D2M এর উপর তাদের রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে।
আরও পড়ুন: আর মাত্র কয়েকমাস! এবার ভারতের আকাশেও উড়বে প্রথম ফ্লাইং ট্যাক্সি, জানেন ভাড়া কত?
কি পরিবর্তন হবে?
এটি সম্পূর্ণ একটি নতুন প্রযুক্তি তাই কারওরই পুরনো ফোনে লাইভ টিভি কাজ করবে না। আগামীদিনে মোবাইলে লাইভ টিভি দেখতে হলে মোবাইলের হার্ডওয়্যারেই পরিবর্তন আনতে হবে। তবে তার জন্য একটি নতুন ফোন কিনতে হবে। তবে এবিষয়ে স্মার্টফোন নির্মাতারা দাবি করেছেন এই D2M প্রযুক্তি চালু করার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো না করে, পর্যায়ক্রমেই তা চালু করা উচিত।
কাদের উপকার হবে?
দীর্ঘদিন ধরেই এই D2M প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ইতিমধ্যেই দেশের মোট ১৯টি শহরে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি চালু করা হয়েছে। সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে বর্তমানে দেশে প্রায় ২২০ মিলিয়ন বাড়িতে টিভি রয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। আগামীদিনে এদের সবার জন্যই D2M প্রযুক্তি অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে।