নিউজ শর্ট ডেস্ক: সামনেই আসছে দোলযাত্রা (Dol Yatra)। আর দোল উপলক্ষে এবছরও রয়েছে একটা লম্বা ছুটি। তাই কমবেশি সকলেই এই ছুটি’টাকে কাজে লাগিয়ে ঘুরতে যেতে চাইছেন। তবে এখন দোল মানেই বাঙালির কাছে শান্তিনিকেতন ছাড়াও অত্যন্ত পছন্দের জায়গা গুলির মধ্যে অন্যতম নবদ্বীপ মায়াপুর কিংবা পুরুলিয়া মতো জায়গা।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না কলকাতার কাছেই দোল উদযাপনের জন্য রয়েছে, আরও একটি মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর ঘুরতে যাওয়ার জায়গা। সেই জায়গাটি হল মাজুলি দ্বীপ (Majuli Dweep)। যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদী দ্বীপ-ও বলা হয়ে থাকে। আর যারা ইতিমধ্যেই নবদ্বীপের দোলযাত্রা দেখে ফেলেছেন তারা কিন্তু এই মাজুলি দ্বীপের দোলের সাথে অনেক মিল পাবেন।
তাই এবারের দোলের ছুটিটাকে কাজে লাগিয়ে চাইলেই কিন্তু ঘুরে আসা যেতে পারে অসমের এই বিখ্যাত নদী দ্বীপ থেকে। এ বছর দোল পড়েছে ২৫ মার্চ। যা নিঃসন্দেহে ভোটের আগে শেষ বড় ছুটি। তাই অনেকেই চাইছেন এই দোলের ছুটিটাকে বেশ জমিয়ে উপভোগ করতে। আর তাদের জন্য এই মাজুলি দ্বীপের দোলযাত্রা নিঃসন্দেহে এক অন্যরকম অনুভূতি হতে চলেছে।
একসময় ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর চর পড়েই তৈরি হয়েছিল এই দ্বীপ। এখন যদিও সেখানে বেশ ভালই জনবসতি গড়ে উঠেছে। বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষরাও। এই দ্বীপের কাছেই রয়েছে বৈষ্ণব মঠ। যা তৈরি করা হয়েছিল অসামের রাজার পৃষ্ঠপোষকতায়। সেখানে আজও ধর্মচর্চা করা হয়।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় পাল্টে গেল একাধিক ট্রেনের টাইমটেবিল! ৪৫ মিনিট লেটে ছাড়বে বাংলার বন্দে ভারত
মাজুলী দ্বীপের চেমাগুড়িতে দোলযাত্রা দেখার মতো। শুধু তাই নয় এখানকার মুখোশ-ও বেশ বিখ্যাত। তাছাড়া এই চেমাগুড়ির দোলযাত্রা আর পাঁচটি জায়গা থেকে কিন্তু একেবারে আলাদা। দোলের দিন চতুর্দোলায় ভগবানকে বসিয়ে পরিক্রমা করা হয়। আর সেই চতুর্দোলার সামনের পেছনে সাদা পোশাক পরে খোল করতাল নিয়ে কীর্তন করতে থাকেন ভক্তরা। রাস্তার ধারে চতুর দোলায় ভগবান দর্শন করে ভক্তরা প্রণামী এবং নৈবেদ্য অর্পণ করেন আর সেই সাথে মাঝে মধ্যে উড়িয়ে দিতে থাকেন হাওয়ায়।
এই চতুর্দোলা গোটা চেমাগুড়ি পরিদর্শন করে তারপর শেষ হয় দোলযাত্রা। এখানে দোলযাত্রার দিন সন্ধ্যাবেলায় হয় ভাবনা অনুষ্ঠান। সেখানেই মৈঝিলী ভাষায় হয় পালা অনুষ্ঠান। আর নাচের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন পালাও করা হয়। কলকাতা থেকে এখানে আসতে হলে রেলপথে গুয়াহাটি এসে সেখানে বহ্মপুত্র নদী পেরিয়ে চলে আসা যায় মাজুলী দ্বীপে। এছাড়া প্লেনে আসলে বিমানবন্দরের নামতে হয়. তারপর সেখান থেকেই ভেসেল করে মাজুলী দ্বীপে পৌঁছানো যায়।