নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কাজেই সম্ভব হয় না। বাড়িতে থাকলে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, এসি থেকে শুরু করে মোবাইল, ল্যাপটপের চার্জার সমস্ত কিছুর জন্যই প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। আর যত দিন যাচ্ছে বিদ্যুতের চাহিদা তত বাড়ছে। তবে গরমকাল এলেই এই বিদ্যুৎ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়। আর এই টানাটানের জন্যই লোডশেডিং এবং পাওয়ার কাট(Power Cut) হয়ে থাকে।
আসলে বিদ্যুতের সংকট মোকাবেলার জন্যেই এই পাওয়ার কাট করা হয়। আর এই লোডশেডিং হলে সাধারণ মানুষ গরমকালে ভীষণ ভোগান্তিতে পড়ে। তীব্র গরমে বারে বারে লোডশেডিং হলে মানুষ অস্বস্তিতে পড়ে যায়। এর কারণ লোডশেডিং হলেই পাখা, এসি সমস্ত কিছু বন্ধ করতে হয়। কিন্তু এই গরমে এইসব বন্ধ করে দিলে ঘরে টেকা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আর এবার এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এবার পাওয়ার কাট বা লোড শেডিং-এর সমস্যা মেটানোর যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হল প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। তবে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য যত কয়লার প্রয়োজন তার বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে কেন্দ্র। আর সরকারের এই বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে আসার ফলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে সেগুলোর কাজ সেভাবেই চলবে। অথচ গ্রীষ্মকালে লোডশেডিং আর হবে না।
এবার কেন্দ্রের তরফ থেকে গ্যাস বৃদ্ধির বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ সংকটের কথা মাথায় রেখে পুরো দমে তাদের কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। তাই ১ মে থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত টানা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালাতে হবে দেশের সমস্ত গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে।
এছাড়াও কেন্দ্রের তরফ থেকে এটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ঐ সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে যতটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে পুরোটাই ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রের তরফ থেকে আগামী দিনের বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বিদ্যুৎ আইন ২০০৩-এর ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী এবার টানা ২ মাস পুরোদমে কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে আগামী দিনে বিদ্যুতের ঘাটতির জন্য লোডশেডিং-এর সমস্যায় আমজনতাকে ভুগতে না হয়।