নিউজশর্ট ডেস্কঃ যে হারে গরমের দাপট বাড়ছে, এই সময় ঘরে শুধু ফ্যানের হাওয়ায় একদমই থাকতে পারছেন না মানুষজন। তাই গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই এসি কেনার জন্য ঝুঁকছেন। তবে যেহেতু দাম অনেক বেশি তাই অনেকেই কিনতে পারছেন না। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এসি(AC) কেনা সহজ কিছু নয়। এর জন্য অনেক টাকা ব্যয় হয়। তবে এখন এই গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড(Second Hand AC) এসি কিনে নিয়ে ব্যবহার করছেন।
তাই এখন সেকেন্ড হ্যান্ড এসিরও বাজারে অনেক বেশি চাহিদা। নতুন এসির তুলনায় এই সেকেন্ডহ্যান্ড এসি তুলনামূলক দাম অনেকটাই কম। তবে সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই ভালো করে যাচাই করে নেওয়া দরকার। নাহলে ঠকে যেতে পারেন আপনি এবং আপনার পয়সা জলে যেতে পারে। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেটি কিনলে আরো বেশি সমস্যায় পড়বেন আপনি। কারণ এসির কোন পার্টস খারাপ হয়ে গেলে সেটি সারাই করতে অনেক টাকা খরচ হয়।
আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে জানাবো এসি কেনার আগে কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: FD Interest Rate: টাকা রাখলেই লাখপতি! ৯% সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক! FD করলেই মিলবে সুযোগ
এসি কিনতে গেলে সবার আগে যেটা জানতে হবে সেটি হল এসি কোন কোম্পানির। যদি কোন পরিচিত ব্রান্ডের হয় তাহলে এসি কেনার কথা ভাবতে পারেন। অপরিচিত কোন ব্র্যান্ড হলে সেই এসি না কেনাই ভালো। এসি কেনার আগে প্রথমে জেনে নিতে হবে সেই এসিটি কবে কেনা হয়েছিল, সেই বিল চেক করতে হবে। কতদিন ধরে এসি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাও জানতে হবে। ভবিষ্যতে কোন এসির কোন পার্টস খারাপ হলে কোম্পানির তরফ থেকে কোন সুযোগ মিলবে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে।
ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যে যদি থাকে তাহলে পুরোনো এসি কেনা যায়। নাহলে না কেনাই ভালো। এর পাশাপাশি এসির গ্যাস চেক করতে হবে। পুরনো এসি কিনলে ইনভার্টার এসি কেনাই সব থেকে ভালো হবে। এছাড়া এসির ফিল্টার যদি খুব বেশি পুরনো হয় তাহলে সেই এসি কেনা ঠিক হবে না। এসি কত স্টার রেটিং সেটা দেখে কিনতে হবে। ফাইভ স্টার হলে সবথেকে ভালো, তিন স্টার হলেও কেনা যাবে। তবে তার চেয়ে যদি কম স্টার থাকে তাহলে সেই এসি কেনা উচিত নয়।