নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন শুধুমাত্র নরমাল রেস্তোরাঁতে গিয়ে সময় কাটানো নয়, রেস্তোরাঁতে নানা রকমের অভিনবত্ব নিয়ে আসা হচ্ছে গ্রাহককে আকৃষ্ট করার জন্য। যেমন রুফটপ রেস্টুরেন্ট রয়েছে, তেমনি আছে ভাসমান রেস্তোরাঁ। এছাড়া হাইওয়ের সামনে ধাবা তো সকলেই জানেন। তবে এবার বাংলায় প্রথম চালু হতে চলেছে বিমান রেস্তোরাঁ(Airbus Restaurant)। আর এটি চালু হতে চলেছে জঙ্গলমহল পুরুলিয়াতে(Purulia)।
কি কি পাওয়া যাবে?
এই বিমান রেস্তোরাঁতে আপনি ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ, এমনকি বাঙালিয়ানারও নানা রকমের পদ খেতে পারবেন। নিশ্চয় শুনে অবাক হচ্ছেন। তবে এই রেস্টুরেন্টের কথা সত্যি। এখানে গেলে আপনি সুস্বাদু খাওয়ারের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি বিমানে চলাচলের স্বাদও পেয়ে যাবেন। এখানে এয়ার বাস রেস্তোরাঁয় আপনি এয়ার হোস্টেস এবং পাইলট সকলকেই দেখতে পাবেন। শুধু তাই নয় এখানে থ্রিডি শো-এর মাধ্যমে বিমান চলাচলের অভিজ্ঞতাও পাওয়া যাবে।
কোথায় তৈরী হবে? কারা তৈরী করছে?
এই রেস্তোরাঁ বাংলাতেই প্রথম। পুরুলিয়া থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে ধানবাদ জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে পুরুলিয়া মফস্বল থানার বেলকুড়ি টোল প্লাজার কাছে বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এই বিমান রেস্তোরাঁ চালু করেছে। পর্যটনের উপর ভর করেই এই জঙ্গলমহলের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এখন পুরো বদলে গিয়েছে। ওই বেসরকারি পর্যটন সংস্থা জানিয়েছে যে চলতি বছরের দূর্গাপূজার আগেই এই বিমান রেস্তোরাঁ চালু হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি পুরনো এয়ারবাস A-319কে পুরুলিয়া আনা হয়েছে। এবার সেগুলোকে ভালোভাবে সাজিয়ে রেস্তোরায় বদলে ফেলা হবে। এখানে গান এবং বাজনার জন্য একটি রাউন্ড সার্কেল থাকবে। এরকম রেস্তোরাঁ পাঞ্জাবের লুধিয়ানাতে ২০১৭ সাল নাগাদ প্রথম চালু হয়েছিল। এরপরে পুরুলিয়াতে দেশের ২৮ তম বিমান রেস্তোরাঁ চালু হতে চলেছে।
এই পর্যটন প্রকল্পের কর্ণধার শীতেশ সিনহা জানিয়েছেন যে বিমান রেস্তোরাঁর মধ্যে দিয়ে পর্যটন শিল্পের বিস্তার বাংলায় এই প্রথম। পুরুলিয়া লাগোয়া ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, বিহারেও এমন নেই। আমাদের এই বিমান রেস্তোরাঁ চালু হলে এটি দেশের মধ্যে ২৮ তম হবে। প্রায় ২০ বছর আগের এই পুরনো বিমান এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা এসে ইন্সটল করবেন। এই রেস্তোরায় প্রায় ৬০ জনের বসার জায়গা থাকবে। পুরুলিয়া ট্যুরিজাম এই পর্যটন প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আরো এগিয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের বোকারো, রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এই বিমান একেবারে ভার্চুয়ালি চলাচল করবে। এই বিমানে মিলবে ল্যান্ডিংয়ের স্বাদ। এখানে বিমানে যেমন চেয়ার নড়ে। মৃদু আওয়াজ হয়। সমস্ত রকমের অনুমতি পাওয়া যাবে। ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ধরে পর্যটকেরা এই বিমান চলাচলের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। এখানে এয়ার হোস্টেস। পাইলট মিলিয়ে মোট ৩০ জন কর্মী থাকবেন।