নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতীয় সমাজে কমবেশি সকলেই বিশ্বাস করেন যে স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। যদিও এখন ধীরে ধীরে চিন্তাধারা অনেক বদলেছে। এখন সমাজে এমন অনেক দম্পতি রয়েছেন যাদের স্ত্রীয়ের বয়স স্বামীর থেকে বেশি। আবার এমন অনেক দম্পতি রয়েছেন, যেখানে স্ত্রীর বয়সের চেয়ে স্বামীর বয়স অনেক বেশি।
অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে স্বামী এবং স্ত্রীর বয়সের আদর্শ ব্যবধান কত হওয়া উচিত? বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কি বলা হচ্ছে? বর্তমানে যুগ যুগ ধরে নানা রকমের নিয়মের পরিবর্তন হচ্ছে। এর পাশাপাশি মানুষের চিন্তাধারারও বদল ঘটছে। বর্তমান সমাজে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের পাশাপাশি এখন লাভ ম্যারেজের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। উভয় ক্ষেত্রে ভালো এবং মন্দ দুটো দিকেই রয়েছে।
কোন নারী কোন পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন, কিভাবে কি দেখে পুরুষের হৃদয়ের নারীর জায়গা হচ্ছে এই সমস্ত কিছুই কেউ জানে না। এক কথায় বলতে গেলে প্রেম অন্ধ। এখানে বিজ্ঞানের কোন যুক্তি কার্যত হয় না। বৈবাহিক সম্পর্ক কতটা মজবুত হবে সেটির বয়সের তারতম্য দেখে বোঝা কঠিন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের নামজাদা ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের প্রসঙ্গ নিয়ে আসা যায়। শচীন টেন্ডুলকারের শ্রী অঞ্জলি তার থেকে চার বছরের বড়। তাদের দাম্পত্য জীবন এখনো অনেক সুখের।
বর্তমান সমাজে এরকম অনেক জনপ্রিয় তারকা জুটির উদাহরণ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনুযায়ী স্বামী এবং স্ত্রীর বয়সের তারতম্য কত হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিজ্ঞানের কোন ধারণা নেই। তবে এইটা বলা যেতে পারে যে একজন পুরুষ এবং একজন নারী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত? বিজ্ঞানের মতে নারী এবং পুরুষের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটলেই শারীরিক সম্পর্ক করা যেতে পারে।
তবে এই হরমোনের পরিবর্তন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে তাড়াতাড়ি ঘটে। তবে তাই বলে এমন নয় যে ছেলে এবং মেয়েদের খুব কম বয়সেই বিয়ে করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিলনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতীয় শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ নির্ধারণ হয়েছে। আর আইনতভাবে বিয়ের ন্যূনতম বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর রাখা হয়েছে ভারতীয় আইনে। সেই অনুযায়ী স্বামী এবং স্ত্রীর বয়সের মধ্যে তিন বছরের ব্যবধান গ্রহণযোগ্য।