নিউজশর্ট ডেস্কঃ আমাদের দেশে এমন অনেক পড়ুয়া রয়েছেন যাদের আইএএস অফিসার কিংবা আইপিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। আর এই স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তাদের। দেশের প্রশাসন ব্যবস্থা এই আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের ওপরে ভীষণ নির্ভরশীল তাই দেশবাসীর কাছেও এই অফিসাররা সম্মানিত হন। তবে এই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করা মোটেও মুখের কথা নয়।
ইউপিএসসি(UPSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার আসা অনেকেরই থাকে। এরপর কঠোর পরিশ্রম অনেক ত্যাগ স্বীকারের পর এই পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করা সম্ভব। এমনই এক অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কি কি করেছেন এই আইএএস জাগৃতি অবস্তি। ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেবার জন্য তিনি সরকারি চাকরি ছাড়েন। কঠোর পরিশ্রমের জন্য নিজেকে একেবারেই নিমজ্জিত করে দেন।
আর কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন বলেই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন। ইউপিএসসি ক্র্যাক করে তিনি আইএএস অফিসার হয়েছেন। তার মা একজন স্কুল শিক্ষিকা এবং তার বাবা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। তার ছোট ভাই বর্তমানে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয় জাগৃতি। এরপরে ২০১৬ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
ওই বছরেই সর্বভারতীয় পরীক্ষা গেটে সাফল্য অর্জন করেন তিনি। এরপরে সরকারি সংস্থা ভেলের তরফ থেকে তার কাছে চাকরির অফার আসে। এই সংস্থাতেই চাকরি করতে শুরু করেন। এখানে কাজ করতে করতেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে ছিলেন। কিন্তু সেই সময় তার আশানুরূপ ফল হয়নি। তবে কাজের মধ্যে দিয়ে সময় বার করতে পারছিলেন না তিনি। তাই মোটা টাকার চাকরির অফার ত্যাগ করে নিজের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে পা বাড়ান।
ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০১৯ সালে চাকরিতে এই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দিল্লিতে যান। কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য আবার ভোপালে চলে আসেন। বাড়ি ফিরে অনলাইনেই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরপরে এক বছর কঠোর পরিশ্রমের পর ২০২১ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষার সর্বভারতীয় স্তরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন জাগৃতি।