নিউজশর্ট ডেস্কঃ এখন চাষিরা আর শুধুমাত্র ধান চাষ নয়, ধান চাষের পরিবর্তে অন্যান্য লাভজনক চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। যেকোনো ধরনের সবজি যেমন আলু, ফুলকপি এগুলোর তুলনায় বেশ কিছু চাষ রয়েছে যেগুলো থেকে মোটা টাকা রোজগার করা সম্ভব।
এমনিতেই মরশুমে দুবার ধান চাষ করেও চাষীদের লাভ হচ্ছে না। তাই বিকল্প আয়ের উৎস(Earning Tips) হিসাবে অনেকেই বাদাম চাষ করছেন। এই বাদাম চাষ করে প্রত্যেক বিঘাতে কয়েক হাজার টাকা লাভ হচ্ছে তাদের। ধান চাষের মত মাত্র কয়েক মাসেই বাদামের চাষ করা যায়। আর এই চাষ করে মোটা টাকা ইনকাম হয়। আর তাই এখন বাংলার বিভিন্ন জেলাতে ধান চাষের পরিবর্তে বাদাম চাষের গুরুত্ব বেড়েছে।
চাষিরা এখন একটি মরশুমে ধানের চাষ করলে অন্য মরশুমে বাদামের চাষ করছেন। এই বাদাম চাষে কৃষি বিভাগের তরফ থেকেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে জেলার বিভিন্ন চাষীদের সহযোগিতা করে অন্যান্য চাষীদের উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। আর বাদামের দাম যেহেতু বাজারে বেশ ভালোই। তাই পকেটেও মোটা টাকা আয় হচ্ছে।
জানা গিয়েছে খুব সামান্য পরিচর্যা করলেই বাদাম চাষে ফল ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে বাদাম বীজ, লাঙ্গল, ওষুধ মিলিয়ে মোটামুটি ২৫ হাজার টাকা মত খরচ হয়। আর মাত্র তিন মাসে এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়। অর্থাৎ ধান চাষ থেকে বাদাম চাষে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।
এছাড়া অনেক কৃষক রয়েছেন, যারা বাদাম শুকিয়ে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি পাইকারিভাবে তাদের কাছ থেকেও ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎে বাদাম চাষ করে দু দিক থেকেই আয় হচ্ছে কৃষকদের। ফলে তারা একটু হলেও লাভের মুখ দেখছেন।