নিউজশর্ট ডেস্কঃ নিজের একটা স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে সকলেই চান। কিন্তু বর্তমানে যে হারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেখানে নিজের বাড়ি তৈরি করা খুব কঠিন এক কাজ। নিজের জমানো অর্থ দিয়ে বাড়ি তৈরি করতে গেলে এটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তার কারণ চাকরি জীবনের শুরু থেকে অর্থ সঞ্চয় করতে করতে একেবারেই অনেক বয়স হয়ে যায়। সেই সময় জিনিসের দাম আরো বেড়ে যাবে। তখন সেই সঞ্চিত টাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে বাড়ি করা সম্ভব নয়।
তাই এক্ষেত্রে হোম লোন(Home Loan) একমাত্র ভরসা। বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক এবং বেসরকারি ব্যাংকের তরফ থেকে হোম লোন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আপনি যে টাকা হোম লোন হিসেবে গ্রহণ করবেন। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই টাকা রিটার্ন করতে হবে। কম বয়সীদের ক্ষেত্রে হোম লোন পাওয়া খুব সহজ। হোম লোনের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি দেখা হয় সেটি হল লোন গ্রহণকারীর আয়।
ব্যাংকের তরফ থেকে যাচাই করা হয় লোন গ্রহণকারী ব্যক্তির আয় লোন দেওয়া অর্থের পরিমাণের পক্ষে যথেষ্ট কিনা। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই গ্রাহক লোন পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি ক্রেডিট স্কোর বিচার করা হয়। ক্রেডিট স্কোরের উপর ভিত্তি করে মূলত লোন দিয়ে থাকেন বিভিন্ন লোন প্রদানকারী সংস্থাগুলো। ক্রেডিট স্কোর ভালো হলে লোন পেতে সুবিধা হয়। ব্যাংকের তরফ থেকে নতুন কোন জমি বা বাড়ি কেনার জন্য বাড়ি মেরামত করার জন্য বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য লোন দেওয়া হয়।
সাধারণত যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তার ৯০ শতাংশ অর্থ ব্যাংক থেকে লোন হিসাবে পাওয়া যায়। তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু নিলেই গ্রাহকের পক্ষে লাভ। তার কারণ যত বেশি টাকা গ্রহণ করা হবে তার ওপরে সুদের হার তত বেশি পড়বে এবং প্রত্যেক মাসে গ্রাহকে ইএমআই দিতে হবে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এর ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ থেকে ৯.১০ শতাংশ পর্যন্ত সুদের হার ধার্য করা হয়।
কোন ব্যক্তি যদি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ১৫ বছরের জন্য ৩০ লক্ষ টাকার হোম লোন নিয়ে থাকেন। তাহলে তাকে প্রত্যেক মাসে ইএমআই দিতে হবে ৩০ হাজার ৪৩৮ টাকা। ১৫ বছরে তার মোট সুদ গিয়ে দাঁড়াবে ২৪,৭৭,০৪০ টাকা। অর্থাৎ ৩০ লক্ষ টাকার হোম লোন নিলে ১৫ বছর পর তাকে সুদসহ ফেরত দিতে হবে ৫৪,৭৭,০৪০ টাকা।