নিউজশর্ট ডেস্কঃ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি যেমন উন্নত হয়েছে তেমনি বদলেছে আমাদের জীবনযাত্রাও। গরুরগাড়ি ঘোড়ার গাড়ি থেকে পেট্রল, ডিজেল চালিত গাড়ি যেমন এসেছিল তেমনি বর্তমানে চলছে বিদ্যুৎ/ ব্যাটারি চালিত বা ইলেকট্রিক যানবাহনের (Electric Vehicles) যুগ। এতে একদিকে যেমন জ্বালানির পিছনের ব্যাপক খরচ কমে যাবে তেমনি পরিবেশও দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এই সমস্ত কারণে সরকারের তরফ থেকেও সাধারণ মানুষকে ইলেকট্রিক যানবাহন কেনার জন্য অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দু চাকা বা চার চাকা গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় বা ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে সরকার। নতুন এই প্রকল্পের নাম হল প্রকল্পের নাম ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রমোশন স্কিম (Electric Mobility Promotion Scheme)। এই স্কিমে ২ চাকা, ৩ চাকা বা চার চাকা কিনলে কতটা ছাড় পাবেন আপনি? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
দুই চাকা, তিন চাকা ও চার চাকা গাড়ির দামের উপর সরকারি ভর্তুকি
ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রমোশন স্কিমের আওতায় গ্রাহকদের গাড়ির দামের ওপর বিশেষ ডিস্কাউট দেওয়া হচ্ছে। কোন গাড়ির ক্ষেত্রে কতটাকা ছাড় মিলবে তা হলঃ
- যদি আপনি কেউ চাকা গাড়ি অর্থাৎ বাইক বা স্কুটি কেনেন সেক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে।
- যদি আপনি টোটো / ই রিক্সা কেনেন বা অন্য কোনো তিন চাকার বাহন কেনেন সেক্ষেত্রে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।
- এবার আপনি যদি চার চাকা কেনেন তাহলে ১,৫০,০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে এই ছাড় প্রথম ১০০০ জন ক্রেতার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আরও পড়ুনঃ আর থাকবে না ওয়েটিং লিস্টের ঝামেলা! জব্বর প্ল্যান ভারতীয় রেলের, জানতে পেরেই খুশি দেশবাসী
ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রোমোশন স্কিমে কিভাবে আবেদন করবেন?
ভারত সরকারের ভারী শিল্প মন্ত্রণালযয়ের তরফ থেকে ইলেকট্রিক যানবাহন কেনার উপর ভর্তুকি প্রদানের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। তবে এই স্কিমের সুবিধা আগামী ৩১শে জুলাই পর্যন্তই পাওয়া যাবে। তাই ব্যাটারি চালিত গাড়ি কিনতে চাইলে এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এর জন্য যানবাহন সংস্থাগুলিতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ক্রেতাদের। তবেই সাবসিডি পাওয়া যাবে। অব্যশই বাকি যে সমস্ত কাগজপত্র লাগে গাড়ি কেনার সময় সেগুলি লাগবে।
প্রসঙ্গত, ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে একাধিক সুবিধা পাবেন। একদিকে যেমন পেট্রল ডিজেলের বাড়তে থাকা দাম থেকে মুক্তি পাবেন। তেমনি অন্যদিকে কম খরচেই বাড়িতে চার্জ দিয়ে ব্যবহার করা যাবে এই গাড়ি যেটা চলার সময় খুবই কম আওয়াজ করে ও পরিবেশেরও ক্ষতি করে না। তাছাড়া পৃথিবীর সমস্ত দেশই ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক গাড়ির প্রচলন করে জীবাশ্ম জ্বালানি খরচ যতটা সম্ভব কম করতে চলেছে।