নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাংলায় গরম যে সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়েছে সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। গরম থেকে বাঁচতে দেদার চলছে ফ্যান, কুলার থেকে শুরু করে এসি। ব্যতিক্রম হয়নি রাজ্যের সরকরি স্কুলেও (Government Schools)। সম্প্রতি প্রাইমারি, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল নিয়ে সরব হতে দেখে গিয়েছে একাধিক স্কুল প্রধানদের। এবার এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয়ের সমস্যার (Electricity Wastage Problem) সমাধান করতে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
প্রয়োজন না হলে স্কুলের ফ্যান, লাইট ইত্যাদি না জ্বালিয়ে রাখাই উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ক্লাসরুম ফাঁকা থাকলেও ফ্যান ও লাইট চালু রয়েছে। এসব আর চলবে না বলে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমনি বলা তেমনি কাজ, পদক্ষেপ নিল বিদ্যুৎ দফতর থেকে শুরু করে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে এই সংক্রান্ত নোটিশ।
গত বৃহস্পতিবার নবান্নে বিদ্যুতের অপচয় রুখতে একটি বৈঠকের আয়োজন হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের কড়া নির্দেশ দেন। তারপরেই স্কুল শিক্ষা দফতর নড়েচড়ে বসেছে। মাত্র ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিতে। আদেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা পালন করার জন্য। কি বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ আরও সস্তা স্বপ্নের গাড়ি, স্কুটি থেকে চারচাকা কিনলে ভূর্তকি দেবে সরকার! জানুন কোনটায় মিলবে কত
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের নোটিশ অনুযায়ী, গরমের জেরে গোটা রাজ্যেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোনোমতেই বিদ্যুৎ অপচয় বরদাস্ত করা হবে না। স্কুলগুলিতে প্রয়োজন ছাড়া বিদ্যুৎ অপচয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর জন্য শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিয়মিত নজরদারি চালানোর জন্য।
প্রসঙ্গত, স্কুল শুরু হওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে এলে আলো পাখা জ্বালালেও অনেক সময় ক্লাস না থাকলে পড়ুয়ারা ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলেও আলো পাখা চলতেই থাকে। এমনকি ছুটির পরেও যদি সেগুলো চালু থেকে যায় তাহলে সারারাত ধরেই ফ্যান ও আলো জ্বলতে থাকে। এতে সরাসরি বিদ্যুৎ অপচয়ই হয়। যেখানে রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি হয়ে লোড শেডিংয়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে সেখানে এই ধরণের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয় বলেই জানানো হয়েছে।