নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের যুগে দাঁড়িয়ে সকলের হাতেই ঘুরছে মোবাইল থুড়ি স্মার্টফোন। এমনকি অনেকেই একাধিক স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। আর একাধিন ফোন মানেই তাতে একের বেশ মোবাইল নাম্বার। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলেই নতুন সিম কার্ড কিনে নাম্বার নেওয়া যেত। কিন্তু এবার আর এতটাও সোজা থাকছে না বিষয়টা। ইচ্ছা হলেই তোলা যাবে না এক গাদা সিম কার্ড। যদিও তুলেও ফেলেন তাহলে দিতে হতে পারে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
নতুন টেলিকম আইন
ভারতে মোবাইল নেটওর্য়াক সংক্রান্ত আইন হিসাবে ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন (১৮৮৫) ও ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ আইন (১৯৩৩) মেনে চলা হয়। তবে সেটা সম্প্রতি আপডেট করা হয়েছে। গত বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন নিয়ম। যার ফলে ১.২, ১০ থেকে ৩০, ৪২ থেকে ৪৪, ৪৬, ৪৭. ৫০, ৫৮, ৬১, ৬২ এই সমস্ত ধারায় কিছু বদল এসেছে। এই নিয়ম না মানলেই জরিমানা করা হবে। তাই আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
কতগুলো সিম কার্ড তুলতে পারবে একজন?
যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তির নামে ৯তীর বেশি সিম কার্ড থাকা যাবে না। যদি থাকে তাহলে ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হবে। আর যদি প্রথমবারের পরেও দ্বিতীয়বার সিম কার্ড তোলা হয় তাহলে ২ লক্ষ টাকার জরিমানা দিতে হবে। তবে এই নিয়মের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে উত্তরের দিকে। উত্তর-পূর্ব ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ৬টি সিমকার্ড তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ লাইনে দাঁড়িয়ে পাশবই আপডেট অতীত! এই ৬টি উপায়ে বাড়ি বসেই জানা যাবে SBI অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স
একইসাথে নতুন নিয়মে আরও বলা হয়েছে, নিজের নাম ব্যাতিত অন্যের নামেও সিমকার্ড তোলা যাবে না। যদি করা হয় তাহলে সিমকার্ড ব্যবহারকারীকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। এর সাথে ৩ বছরের কারাদন্ডও দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কারাবাসের মেয়াদের নিয়ম ভিন্ন হতে পারে।
স্প্যাম কল থেকে টেলিকম পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ
গ্রাহকদের স্প্যাম কল থেকে মুক্তি দিতেও আনা হয়েছে নতুন নিয়ম। কারোর সম্মতি ছাড়া প্রমোশনাল মেসেজ পাঠাতে পারবেন না অপারেটর। এই নিয়ম উলঙ্ঘন হলে অপারেটরকে ২ লক্ষ টাকা ওজরিমানা করা হবে। শুধু তাই নয়, জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে যেকোনো টেলিকম পরিয়সেবার নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার।
টেলিকম পরিসেবা ব্লক করা, মেসেজ ও কল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে সরকারের কাছেই। যদিও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রাপ্ত সাংবাদিকরা ছাড় পাবেন, তবে জাতীয় সুরক্ষার প্রয়োজনে তাদের মেসেজ ও কলের উপরেও নজরদারি চালাতে পারে সরকার। সরকার চাইলে যেকোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপরে টেলিকম কেবল বা টাওয়ার বসাতে পারবে। প্রশাসনের প্রয়োজনে যে কেউ জমি দিতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে জমির মালিক বিরোধিতা করতে পারবেন না।