নিউজশর্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি মামলার (Ration Scam) তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে একেরপর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে। যা দেখার পর রীতিমত চমকে উঠছে আমজনতা। আর এবার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাবার বিরুদ্ধেই এল রেশন দুর্নীতির অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ভুয়ো কার দেখিয়েই নাকি সরানো হত খাদ্যশস্য। যদিও শেষ পর্যন্ত আর দুর্নীতি ঢাকা ঢাকেনি। খাদ্য দফতরের তরফ থেকে ২ কোটি ৩ লক্ষ টাকার ফাইন করা হয়েছে ওই ডিলারের নাম।
আবদুল হাকিম নামের ওই ডিলার যে সমস্ত কার্ডে চাল, গম দেওয়া হয়েছে দেখিয়েছেন তার কোনো অস্তিত্বই নেই। খাতাকলমে চা বাগানের এলাকায় বিপুল সংখ্যক খাদ্যশস্য বিলি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে চালু হওয়া ডিজিটাল রেশন সিস্টেমের জেরে গরমিল ধরা পড়তে শুরু হয়। এরপর শুরু হয় তদন্ত, আর তারপর যেটা দেখা গেল তা দেখে চোখ কপালে আধিকারিকদের। প্রায় লাখখানেক জাল কার্ড বানিয়ে সরানো হচ্ছিল রেশন সামগ্রী।
এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনো কথাই বলতে নারাজ অভিযুক্ত অবদুল হাকিম। এদিকে ছেলে তথা স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি আখতার আলিকে বাবার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, খাদ্য দফতরের তরফে যে বিপুল অঙ্কের ফাইন করা হয়েছে সেটার বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন। আইনীপথে মামলা করবেন। তবে বাবা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবসা করেন, শাসক দলের এর সাথে কোনো রকমের যোগাযোগ নেই।
আরও পড়ুনঃ বাড়ল পরিমাণ! এ মাসে কত কেজি ফ্রি চাল গম পাওয়া যাবে রেশনে? দেখুন তালিকা
এই প্রসঙ্গে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ধীরেন সিনহা নিজের মন্তব্য পেশ করেছেন। তাঁর মতে, রেশনে গরমিলের কারণে এত বড় অঙ্কের ফাইন সত্যিই রাজ্যের নজির বিহীন ঘটনা। অভিযুক্ত ডিলার ইতিমধ্যেই পুনরায় সবটা খতিয়ে দেখার জন্য যাবেন জানিয়ে খাদ্য দফতরে আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল এতবড় যে দুর্নীতির পর্দাফাঁস হল, তাহলে এতদিন খাদ্য দফতর কি করছিল?
একইভাবে, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও বলেন, উত্তরবঙ্গে ধান কেনা থেকে শুরু করে রেশন বিলি সমস্ত ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির টাকা শাসকদল খেয়েছে। একাধিক ডিলার এমন কাজ করে চলেছেন। উত্তরবঙ্গে ED ও CBI আরও সক্রিয় হোক ও এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।