নিউজশর্ট ডেস্কঃ শ্রুতি দাস নামটা নিশ্চই বাংলা সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত। একসময় ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের হাত ধরে পর্দায় এসেছিলেন অভিনেত্রী। প্রথম সিরিয়ালের জিতে নিয়েছিলেন সকলের মন। এরপর ‘দেশের মাটি’ থেকে ‘রাঙা বউ’ প্রতিবারই মুগ্ধ করেছেন নিজের অভিনয়ে। এককথায় টেলি ইন্ডাস্ট্রিতে তিন বছরেই নিজের জায়গা তৈরী করতে পেরেছেন শ্রুতি।
কিভাবে ত্রিনয়নী হলেন শ্রুতি?
কাটোয়ার মেয়ে শ্রুতিকে ছোট থেকেই গায়ের রংয়ের জন্য কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল। তবে একদিন হটাৎই এক নাট্যবন্ধুর সূত্রে অডিশনের খবর আসে। ছবি পাঠানোর পর ডাক পরে কলকাতায়। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত বসে থাকতে হয়েছিল ভারতলক্ষী স্টুডিওর গাছতলায়। এরপর কাস্টিং ডিরেক্টর একবার দেখেই চলে যান। জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারেন, সিলেকশন হয়নি। কারণ ছবিতে যেমন দেখতে লাগে আসলে তেমনটা লাগছে না। পরের দিন বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
এই ঘটনার পর দ্বিতীয় দিনের মাথায় সকালে ফোন আসে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে একটা স্ক্রিপ্ট পাঠানো হচ্ছে সেটা ভিডিও করে পাঠাও। সেটা করার পর আধঘন্টার মধ্যে কাস্টিং ডিরেক্টর ফোন করে ডেকে নেন। তারপর আর কি! চারটে ট্রেন পাল্টে সন্ধ্যের দিকে ষ্টুডিওতে পৌঁছাতেই লুক সেট হয়। তারপর যেটা হল সেটা সকলেরই জানা। ‘ত্রিনয়নী’ সিরিয়ালের নায়িকা হলেন শ্রুতি।
নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন শ্রুতি দাস
বেশ কিছুদিন আগে ‘জোশ টক’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হয়েছিলেন শ্রুতি দাস। সেখানেই তিনি জানান, প্রথম সিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ টাকা হয়তো দেয়নি তবে খ্যাতি দিয়েছে। ভালো অভিনয়ের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী।
এদিন শ্রুতি বলেন, ‘৩ বছর হল ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। অনেকেরই মন্তব্য, আমি নাকি আমার বয়ফ্রেন্ডকে কাজে লাগিয়ে কাজ পেয়েছি। তাদের সবার আগে যানটি হবে সেই মানুষটা কিন্তু আমায় কাটোয়া থেকে টালিগঞ্জে নিয়ে আসেনি।’
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিভেজা রাতে ফের কাছাকাছি সৃজন-পর্ণা! বাজ পড়ল বাবুউউর মাথায়, দেখুন কি হবে আজকের পর্বে
এদিন অভিনেত্রী আরও জানান, ‘প্রথম ধারাবাহিক আমায় খ্যাতি দিয়েছিল টাকা দেয়নি যেটা আমি ডিজার্ভ করি। সেই সময় বাবার ইনকাম ছিল দুহাজার টাকা। তাই সেই হিসাবে আমায় যেটা অফার করা হয়েছিল ৫০০০ বাড়িয়ে বলে ভেবেছিলাম, এই টুকু বাড়ানো যায় কি? পরবর্তীকালে জেনেছিলাম আমি যেটা বলেছি সেটা ইন্ডাস্ট্রির নূন্যতম ছিল আমি বোকা ছিলাম বলেই সেটা বলেছিলাম। তবে তাতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’