পার্থ মান্নাঃ প্রতিদিনের কর্মসূত্রে যাত্রা হোক বা ভ্রমণ কিংবা উৎসবের মরশুমে বাড়ি ফেরা। সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুষের একটাই ভরসা সেটা হল ভারতীয় রেল। সেই কারণে প্রতিবছরই উৎসবের মরশুমে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যায় দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে। টিকিট পাওয়া যেমন দুষ্কর হয়ে যায় তেমনি জেনারেল টিকিট কেটেই উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে দিয়ে একপ্রকার প্রাণ হাতে নিয়ে যাত্রা করতে হয় লক্ষাধিক মানুষকে। তাই এবছর ১লা অক্টোবর থেকেই বিশেষ ব্যাপস্থা নেওয়া হয়েছে রেলের তরফ থেকে।
উৎসবের মরশুমে চালু ৭০০০ স্পেশাল ট্রেন
জানা যাচ্ছে আগমী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত উৎসবের মরশুমের অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে প্রায় ৭০০০ ট্রেন চালু করা হয়েছে। এমনটাই ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যেটা গত বছরের ৪৪২৯ টি ট্রেনের থেকে অনেকটাই বেশি। গোটা দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাবে এই স্পেশাল ট্রেনগুলি। হিসাব বলছে প্রতিদিন গড়ে ১৩৬টি স্পেশাল ট্রেনের জন্য অতিরিক্ত কারেরিং পরিষেবা যেমন রাখা হয়েছে তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ছটপূজা উপলক্ষে চলবে ১৪৫টি ট্রেন
অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ছটপূজা উপলক্ষেই ২,৩ ও ৪ নভেম্বর তারিখে ১৪৫টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। কারণ এই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিহার রাজ্যের দিকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফেরেন। তাই যাত্রী দুর্ভোগ যাতে না হয় সেই কথা ভেবেই এই অতিরিক্ত আয়োজন করা হয়েছে। অবশ্য এখানেই শেষ নয়, অনেকেই অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেন না। যার জেরে প্লাটফর্মের টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন লেগে যায়। তাই এই সময় অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলার কথাও বলা হয়েছে। যাতে যাত্রীদের টিকিট বুকিংয়ের স্বাচ্ছন্দ্যও বাড়বে।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময়েও হাওড়া থেকে শুরু করে শিয়ালদহ রুটে বহু স্পেশাল ট্রেন চালানো হয়েছিল। বিশেষ করে পুজোর চারদিন বলতে গেলে সারারাত মিলেছে লোকাল ট্রেনের পরিষেবা। এমনকি কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকেও পুজোর কদিন ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত মেট্রো চালানো থেকে শুরু করে দের রাত্রি পর্যন্ত ট্রেন চালানো হয়েছিল।